
ডেস্ক নিউজ : মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
ঐতিহাসিকদের মতে, মসজিদে নববীর মিহরাবের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে, সুলতান কায়েতবায়ের শাসনামলে। পরে কিং ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ্য করেন যে মিহরাবগুলো তাদের আসল সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। তাই ১৪০৪ হিজরিতে তিনি মিহরাবগুলোর খিলান পুনঃনির্মাণ করেন।
১. মিহরাবে নববী (محراب نبوي)
এটি সেই স্থানে অবস্থিত, যেখানে রসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে সালাত আদায় করতেন। আজও মসজিদে নববীর ইমাম এই মিহরাবেই নামাজ পড়ান। এটি মসজিদে নববীর সবচেয়ে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর একটি।
২. তাহাজ্জুদের মিহরাব (محراب تہجّد)
তাহাজ্জুদের মিহরাবটি গম্বুজের উত্তর দিকে অবস্থিত। এখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। ইতিহাসবিদ ইবনে-নাজ্জার জানান, ৬৪৩ হিজরিতে এই মিহরাবের অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর উসমানীয় শাসকরা একটি লাল পাথর বেছে নিয়ে এটিকে পুনঃনির্মাণ করেন। এই মিহরাবে সোনালী হরফে তাহাজ্জুদ শব্দটি খোদাই করা আছে।
৩. ফাতিমার মিহরাব (محراب فاطمة)
এই মিহরাবটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কক্ষে অবস্থিত এবং এটি মামলুক আমলে নির্মিত হয়। এটি আকারে ও নকশায় নবীর মিহরাবের সাথে মিল রাখে।
৪. উসমানী মিহরাব (محراب عثماني)
এই মিহরাবটি কিবলার দিকের দেয়ালে নির্মিত হয়। প্রথমে এটি নির্মাণ করেন আল ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক এবং পরে সুলতান কায়েতবায় ৮৮৮ হিজরিতে এটিকে নতুন করে সংস্কার করেন।
৫. সুলেমানী মিহরাব (محراب سليماني)
নবম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে এটি নির্মিত হয় এবং এটি মসজিদে নববীর মিম্বরের পশ্চিম দিকে তৃতীয় স্তম্ভে অবস্থিত। ৯৪৮ হিজরিতে সুলতান সুলেমান খান এই মিহরাবটি পুনরায় নির্মাণ ও সংস্কার করেন এবং তাতে সাদা-কালো ফুলেল পাথর বসান, যা আজও অক্ষত রয়েছে।
কিউটিভি/আয়শা/০৭ মে ২০২৫, /রাত ১০:৩৮