আইআরজিসির নৌবহরে যোগ দিল ইরানের নতুন ড্রোনবাহী রণতরী

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - ০৫:৪০:৪৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানি সংবাদমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে পারস্য উপসাগরের উপকূলে অবস্থিত সমুদ্রবন্দর বন্দর আব্বাসে আইআরজিসি কমান্ডার শহীদ বাহমান বাঘেরির নামে নামকরণ করা ড্রোনবাহী রণতরীটি সামরিক বাহিনীর নৌবহরে যোগ দিয়েছে।

১৮০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে বিশিষ্ট এই রণতরী সমুদ্রে ড্রোন ও হেলিকপ্টার মিশনের জন্য একটি মোবাইল নৌপ্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। বিভিন্ন ধরণের মনুষ্যবিহীন বিমান বহন, বিভিন্ন ধরণের টহল ও যুদ্ধ ড্রোন ব্যবহার করার পাশাপাশি এটি হালকা ও দ্রুতগামী যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন এবং বিভিন্ন ধরণের হেলিকপ্টার বহন করতে সক্ষম।
 
আইআরজিসির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি রণতরীর উদ্বোধন করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে ড্রোনবাহী রণতরীতে রূপান্তর করতে দুই বছর সময় লেগেছে।
 
২২ হাজার নটিক্যাল মাইলব্যাপী অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম রণতরীটি জ্বালানি রিফিল করার কোনো প্রয়োজন ছাড়াই দূরবর্তী সমুদ্রে পুরো এক বছর ধরে মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম বলেও জানান আলী রেজা তাংসিরি। 
 
তিনি আরও বলেন, এই রণতরীটি যেহেতু স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা সজ্জিত, তাই এটি বিভিন্ন ধরণের ছোট বিমান ও বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে লড়াই করতে সক্ষম। এছাড়া এটি গোয়েন্দা সরঞ্জাম ও ফ্লাইট কন্ট্রোল টাওয়ার দিয়ে সজ্জিত বলেও জানান তিনি।
 
শুধু ড্রোনবাহী রণতরীই নয়, এর সঙ্গে সঙ্গে একেবারেই নতুন ধরনের অত্যাধুনিক এক ড্রোন উদ্বোধন করা হয়েছে। নতুন ধরনের এই ড্রোনের নাম ‘কাহের-৩১৩’। এটা মূলত ইরানের ‘কাহের ৩১৩’ স্টিলথ যুদ্ধবিমানের ড্রোন সংস্করণ। তাই একে স্টিলথ ড্রোনও বলা হয়েছে।
 
‘কাহের-৩১৩’ স্টিলথ ড্রোনকে ‘কায়েম’ নামেও ডাকা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও তুরস্কের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের হাতে রয়েছে এই স্টিলথ ড্রোন। ইরান সম্প্রতি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ‘কাহের ৩১৩’ নামে স্টিলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে যা গত বছরের শেষের দিকে প্রথম পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করে।
 
২০২৩ সালের শুরুর দিকে ইরানি কর্মকর্তারা স্টিলথ ফাইটার জেট কাহের-৩১৩-এর ড্রোন সংস্করণ তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। কর্মকর্তারা জানান, খুব শিগগিরই ড্রোনের বেশ কয়েকটি নতুন মডেল উন্মোচন করা হবে। এর মাত্র দুই বছরের মাথায় ড্রোনটি সামনে আনা হল।
 
এর আগে গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আইআরজিসির নৌবাহিনী দেশের দক্ষিণ উপকূলে নবনির্মিত এই ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা প্রদর্শন করে। আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এদিন দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
 
একই সময়ে নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও উন্মোচন করে ইরান। এটি ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার (১ হাজার ৫৬ মাইল) দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনী হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৫:৪০

▎সর্বশেষ

ad