
খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : জাল সনদ ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরী করতে এসে দুই মিয়ানমারের (রেহিঙ্গা) নাগরীক আটক হয়েছে। ১৮ নভেম্বর সোমবার বিকেলে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের সহযোগি কথিত পিতা পরিচয়ে দালালও আটক হয়েছে। আটককৃতদের গোসাইরহাট থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, ১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল ফকির আহমেদের ছেলে মো. ইয়াসিন (২১) ও সোনা আলীর ছেলে মো: হোসেন (২৮)। তাদেরকে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিয়ে যায় উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মধ্য দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত কালিম উদ্দিনের ছেলে মো. আহসান উল্লাহ (৫৮)। নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের ভাষা ও কাগজপত্রে গড়মিল দেখে আটক করে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ইয়াসিন ও মো: হোসেন নামে দুই ব্যক্তি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করার জন্য গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যায়। সাথে ছিলেন তাদের পিতা পরিচয়ে কোদালপুর ইউনিয়নের মো. আহসান উল্লাহ। সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া নাগরিক সনদ, বিদ্যুৎ বিল, বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ দরকারী সকল কাগজপত্র ছিল। পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যায়।
এসময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রত্যাশীদের ভাষা ও আচার আচরনে নির্বাচন অফিসের দায়িত্বরত কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নির্বাচন অফিসারকে জানালে কাগজপত্র যাচাই করেন তিনি। কাগজপত্রে গড়মিল ভাষার ভিন্নতা প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে গোসাইরহাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু দাউদ বলেন, উপজেলার কোদালপুরের মো: আহসান উল্লাহ তার দুই ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করতে আসে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া কাগজপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রত্যাশীদের ভাষার গড়মিল থাকায় তাদেরকে আটক করি। পরে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করি।
এবিষয়ে গোসাইরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মাকসুদ আলম বলেন, আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যারনার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কিউটিভি/আয়শা/১৯ নভেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৫:২২





