
ডেস্ক নিউজ : মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন হাদিসে এ জিকিরগুলোর তাৎপর্য ও ফজিলত সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। জিকিরগুলো নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়া সম্ভব।
ফরজ নামাজের পর সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার ৩৩ বার করে পড়া। ১০০ পূর্ণ করার জন্য নিম্নের দোআ পাঠ করার ফজিলত রয়েছে। লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন কদির। (মুসলিম ১৩৮০) এ আমল দ্বারা সমুদ্রের ফেনার সমান পাপও আল্লাহ ক্ষমা করেন।
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পড়বে, তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয়। (বুখারি ৬৪০৫ মুসলিম ৭০১৮) যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি ১০০ বার পাঠ করে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার বেশি হয়। (আল হাকিম ১৯০৬)ফজরের নামাজের পর ১০০ বার লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়া। এতে সমুদ্রের ফেনার সমান গুনাহও ক্ষমা করা হয়।
(নাসায়ি ১৩৫৪) হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ শেষে তিনবার ইসতেগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে) اَسْتَغْفِرُ الله পড়তেন। তারপর বলতেন-
اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল ঝালালি ওয়াল ইকরাম।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি শান্তির প্রতীক। তুমিই শান্তির উৎস এবং শান্তির ধারা তোমার কাছ থেকেই প্রবাহিত। তুমি বরকতময় হে মহত্ব ও সম্মানের অধিকারী।’ (মুসলিম, মিশকাত)
হজরত উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ফজরের নামাজের সালাম ফিরিয়ে নবিজী বলতেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফেয়া ওয়া রিযকান তাইয়্যেবা ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারি জ্ঞান চাই, পবিত্র রিজিক চাই এবং কবুল হওয়ার যোগ্য আমল (করতে) চাই।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহামদ)
মহান আল্লাহর দয়া ও করুণায় নির্দিষ্ট জিকিরগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের গুনাহ ক্ষমা করাতে পারি। জিকিরগুলো কেবল মুখে আওড়ানোর বিষয় নয়, বরং তা অন্তরের অন্তস্থলে স্থান পাওয়া। আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পাদন করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এসব জিকিরের বরকত লাভ করার তৌফিক দিন।
কিউটিভি/আয়শা/২০ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১১:৩০