ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

চীন কি বাংলাদেশে ‘ভারতবিরোধী’ মনোভাবের ফায়দা লুটতে পারবে?

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ - ১১:০৪:২০ পিএম

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এবং প্রভাব আরও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে চীনের যে রকম সুযোগ রয়েছে, তেমনি রয়েছে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ককে নতুন সমীকরণের মুখে দাঁড় করিয়েছে। যেখানে একইসঙ্গে রয়েছে সম্পর্ক জোরদারের সম্ভাবনা; অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সম্পর্কের সেই বিকাশকে কতখানি ইতিবাচকভাবে নেবে সেই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অবস্থান।

 
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক হচ্ছে- অর্থনৈতিক ও সামরিক। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী। অথচ একসময় ভারতই ছিলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী। জুলাই বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনার সরকার ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে পরিচিত থাকলেও মূলত তাদের আমলেই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায়। ভারতকে হটিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সহযোগীতে পরিণত হয় চীন।
 
পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সড়ক, সেতুসহ বাংলাদেশের বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ করতে থাকে চীন। যার একটি বড় উদাহরণ পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক থেকে প্রত্যাশিত সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত চীনের সহযোগিতাতেই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও বাংলাদেশে চীনের দেয়া বিভিন্ন ঋণ সহায়তার শর্ত নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা রয়েছে, তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দেশের অবকাঠামো প্রকল্পে চীনের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সামরিক দিক থেকেও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দশকের পর দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামের বেশিরভাগই আসে চীন থেকে। প্রতিরক্ষা খাত বিষয়ক আন্তর্জাতিক থিংকট্যাংক সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আমদানি করা সমরাস্ত্রের ৭২ শতাংশই সরবরাহ করে চীন। শুধু সেনাবাহিনীই নয়, বাংলাদেশের নৌবাহিনীর বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বেইজিং। যার উদাহরণ চট্টগ্রামে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সাবমেরিন ঘাঁটি ‌‘‘বিএনএস শেখ হাসিনা”; যেখানে ছয়টি সাবমেরিনের পাশাপাশি ৮টি যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্ত হওয়া দুটি সাবমেরিনের সরবরাহকারীও চীন।

ভারত-চীনের মাঝে ভারসাম্যের নীতি
প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই এশীয় শক্তি চীন ও ভারতের সঙ্গে এক ধরনের ভারসাম্য রক্ষা করে চলার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। যদিও শেখ হাসিনা সরকারকে ভারতপন্থি হিসেবে মনে করা হয় এবং ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি ভারতেই আশ্রয় নেন। তবে একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশই ছিলো চীনের বিআরআই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণকারী প্রথম দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্র। তবে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বিস্তারের এসব বিষয় বরাবরই সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে আসছে এশিয়ার ভূরাজনীতিতে চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। বিশেষ করে তিস্তা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণের ব্যাপারে ভারতের নিরাপত্তাজনিত আপত্তি রয়েছে। তিস্তা প্রকল্পে চীন অংশগ্রহণের ব্যাপারে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করলেও মূলত ভারতের বাধার কারণেই এই প্রকল্পে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থেকেছে শেখ হাসিনা সরকার।
 
বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার সহজ হবে না চীনের জন্য
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে এক ধরনের শীতলতা তৈরি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ফের বাংলাদেশে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বার্থ আরও জোরদার করার সুযোগ তৈরি হয় চীনের সামনে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং তিস্তা ইস্যুতে নতুন করে ভূমিকা রাখার সুযোগ আসে চীনের সামনে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে সঙ্কট থাকায় আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের সম্ভাবনা তৈরি হয় চীনের সামনে। তবে তাতে চীন চূড়ান্তভাবে কতখানি সফল হবে সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে বিশ্লেষকদের। অনেক বিশ্লেষকের মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। ওয়াশিংটন স্বভাবতই চাইবে না বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে যাক। আবার ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী হওয়ায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও চাইবে না চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তার করতে গিয়ে এমন কিছু করতে যাতে দিল্লি অসন্তুষ্ট হয়।

জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তার চীনের জন্য সহজ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‌‘চীন বাংলাদেশে দেখবে বিশেষ করে অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোতে তার লাভ আছে কি না। তবে চীনের সামনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি প্রতি বছর ভারত যায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করেছে। এই সুযোগটা নিতে পারে চীন। তারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। অপরদিকে বাংলাদেশিরা যেন চীনে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারে সেজন্য দেশটি ভিসা সহজিকরণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করতে পারে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তিস্তা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কতখানি- এমন প্রশ্নে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এই ব্যাপারে বর্তমান সরকার ধীরে চলো নীতিই অবলম্বন করবে। কারণ, এখানে ভারত জড়িত। তিস্তার পানি তো ভারত থেকেই আসে। আর ভারতও এখানে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাই বর্তমান সরকার যদি তিস্তা প্রকল্প চীনের সঙ্গেই করা হবে এমন শক্ত অবস্থান না নিতে পারে, তবে এই প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা থাকবে না। আবার চীন এই প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার বিষয়টিও দেখবে। চীন এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যেখানে তার বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে চীনও এমন কিছু করতে চাইবে না যাতে ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হবে। তাছাড়া ভারতকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে এই প্রকল্প শুরু করলে, সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে ভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, সেটা চীনও জানে।’
 
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের ব্যাপারে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের সরকার ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু চীন কেন, কোনো দেশই ব্যাপকহারে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসবে না। তারা আরও অপেক্ষা করবে। স্থিতিশীল পরিস্থিতি না আসা পর্যন্ত তারা ‘ধীরে চলো’ নীতিতে এগুবে। বিশেষ করে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। কারণ নির্বাচিত সরকার ছাড়া বিনিয়োগে আস্থা পাবে না কোনো দেশই।’এজন্যই এখনও কোনো দেশ বাংলাদেশে সে রকম বিনিয়োগের আশ্বাস দেয়নি বলে মনে করেন ড. ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, ‌‘শুধু চীনই নয়, আমেরিকাও কিন্তু বিনিয়োগের সেরকম আশ্বাস দেয়নি। অথচ তারা বর্তমান শাসকদের ঘনিষ্ঠ। নির্বাচিত সরকার না এলে ইউরোপও তাদের নিয়মের কারণেই পারবে না এখানে বিনিয়োগ করতে। সবগুলো পক্ষই বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চাইবে।’

‘অপরদিকে বর্তমান সরকারও বিষয়গুলো পরিষ্কার করেনি যে, তারা কতদিন ক্ষমতায় থাকবে, কবে নির্বাচন হবে কিংবা তারা কী কী সংস্কার করবে। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশিরা ধীরে চলো নীতিই মেনে চলবে।’
অপরদিকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ইতিবাচকভাবেই এগিয়ে যাবে। তবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শীতল সম্পর্ক থাকলেও চীনের পক্ষে তার সুযোগ নেয়া কতটা সম্ভব হবে সেটাও দেখার বিষয়। চীনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কিছুটা আপত্তি থাকতে পারে। কারণ, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে চীন প্রতিযোগী দেশ হিসেবে বিবেচিত।
তাই ওয়াশিংটন চাইবে দক্ষিণ এশিয়ায় যেন চীনের আধিপত্য বৃদ্ধি না পায়। তবে বাংলাদেশেরও এই মুহূর্তে অর্থ প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে চীন এগিয়ে আসতে পারে; কিন্তু বিষয়টি এমন নয় যে, বাংলাদেশ চাইলেই চীন থেকে টাকা পাবে। অবশ্য চীনের ঋণের একটি বড় সুবিধা হলো, চীনের ঋণের ক্ষেত্রে শর্ত খুব একটা কঠিন হয় না। তবে তারা কাউকে ঋণ দেয়ার আগে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে। যেমন শ্রীলংকার আর্থিক সংকটের সময় চীন কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেয়নি। অথচ তার আগে চীনের অর্থে শ্রীলঙ্কা অনেক বড় বড় প্রকল্প সম্পন্ন করেছে।

তিনি বলেন, ‌‘চীন বাংলাদেশের পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে একশ ভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে; যা একটি বড় ঘটনা। এটা একটা বড় রকমের গেম চেঞ্জার হবে। কারণ, আমরা চীনে রফতানির দিক থেকে ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যেই আছি। কিন্তু এই শুল্কমুক্ত সুবিধার সুযোগে খুব দ্রুতই চীনে রফতানি ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।’
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা কতদূর এগোয় তা প্রশ্নসাপেক্ষ উল্লেখ করে মাহফুজ কবীর বলেন, ‘তিস্তায় ভারতকে বাদ দিয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো চুক্তিতে গেলে, সেটা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্য অভিন্ন নদীগুলোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে কি না সেটাও দেখার বিষয়। তাছাড়া ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক এক মাস আগের মতো অতটাও শীতল নয়। বিশেষ করে নিউইয়র্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠকের পর সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।’

আর তাই বাংলাদেশ আসলে তিস্তা নিয়ে এমন কিছুই করবে না যার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সঙ্গে অন্যান্য নদীর পানি ভাগাভাগিতে কোনো প্রভাব পড়ে- এমনটা মনে করছেন মাহফুজ কবীর। কারণ, ‘বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীগুলোর প্রায় সবগুলোরই উৎস ভারতে।’
তাই চীনা অর্থায়নে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের ঝুঁকি বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নেবে না বলেই মনে করেন ড. মাহফুজ কবীর।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৩ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১১:০০

▎সর্বশেষ

ad