ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

মুদারাবা বিনিয়োগে মুনাফার পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে?

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ - ০৭:৫৫:২৩ পিএম

ডেস্ক নিউজ : প্রশ্ন: আমার জানার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের একটি কোম্পানি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এবং হোস্টিং স্পেস বিক্রয়ের ব্যবসা করে। তারা চুক্তির মাধ্যমে কিছু বিনিয়োগকারী নিয়োগ দিচ্ছে। 

বিনিয়োগের চুক্তির পদ্ধতি হচ্ছে, কেউ যদি ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে, প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে ২৫০০ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করবে এবং চুক্তির মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ ১ লাখ টাকা ফেরত দিবে। তাদের লভ্যাংশের হার নির্ধারিত হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে যে, যেহেতু তাদের আয় নির্ধারিত তাই লভ্যাংশের হারও নির্ধারিত। তাছাড়া হোস্টিং স্পেস বিক্রয়ের ব্যবসায় ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই। 

উল্লেখযোগ্য যে, এটা যেহেতু অনলাইন ব্যবসা, এখানে লোকসানের সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললে চলে। এখন আমার জানার বিষয় হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ গ্রহণ করা কি বৈধ হবে নাকি সুদ হবে? 

উত্তর: প্রশ্নে বর্ণিত মুনাফা বণ্টনের পদ্ধতি বৈধ হবে না। কেননা, ফিকহের পরিভাষায় চুক্তির এই পদ্ধতিকে ‘মুদারাবা’ বলে। আর মুদারাবার ক্ষেত্রে মুনাফার পরিমাণ নির্দিষ্ট করা হলে চুক্তি বৈধ হয় না। সুতরাং প্রশ্নেল্লেখিত ক্ষেত্রে এক লাখ টাকায় আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণ করা একটি অবৈধ পদ্ধতি।

মুদারাবা বিনিয়োগে বৈধ পদ্ধতি হল, পার্সেন্টিস নির্ধারণ করা। পার্সেন্টিস হিসেবে যতটুকু উভয় চুক্তিকারী সম্মত হয়, ততটুকু মুনাফা গ্রহণই জায়েজ আছে। এখানে কোনো পরিমাণ নির্দিষ্ট নেই। কিন্তু মুনাফার পার্সেন্ট উভয় চুক্তিকারীর সম্মতিক্রমে হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে মুনাফার হার সমান হওয়া জরুরি নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ৬/৮৬)

সুতরাং যত পার্সেন্ট নির্ধারণ করলে এক লাখ টাকায় আড়াই হাজার টাকা আসতে পারে তত পার্সেন্ট উভয়ের সম্মতিক্রমে নির্ধারণ করে নিলে কারবারটি বৈধ হয়ে যাবে।

দ্বিতীয়ত, মুদরাবার ক্ষেত্রে নিয়ম হল, ব্যবসায়ে মুনাফা হলে পূর্ব চুক্তি অনুসারে উভয়পক্ষের মাঝে মুনাফা বণ্টিত হয় এবং ব্যবসায় লোকসান হলে বিনিয়োগকারী বা সাহিব-আল-মাল উক্ত লোকসান বহন করে। 

অন্যদিকে, ব্যবসায় পরিচালনাকারী বা মুদারিব তার মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে কোনো পারিশ্রমিক পায় না, যা তার লোকসান হিসেবে গণ্য হয়। তবে যদি মুদারিব কর্তৃক নিয়ম লঙ্ঘন, অবহেলা বা চুক্তিভঙ্গের কারণে লোকসান হয় তাহলে মুদারিবকেই লোকসানের দায় বহন করতে হয়। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৯ মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া, মাদ্দাহ ১৩৬৯ রদ্দুল মুহতার ৫/৬৪৮)

সুতরাং প্রশ্নেল্লেখিত ক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ এক লাখ টাকা ফেরত পাবে; এধরণের শর্তের কোনো ভ্যালু নেই।

উত্তর দিয়েছেন: শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৬ অক্টোবর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৫৪

▎সর্বশেষ

ad