ব্রেকিং নিউজ
চিলমারীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ : অব্যহতি দুই বিক্ষোভকারীকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু

ব্যভিচারের অপবাদ দেয়ার যে শাস্তি

Ayesha Siddika | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ - ১০:০৮:৫৫ পিএম

ডেস্ক নিউজ : মহান আল্লাহ মিথ্যা অপবাদদাতাদের শাস্তির বিধান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন,

وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ ثُمَّ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِاَرۡبَعَۃِ شُهَدَآءَ فَاجۡلِدُوۡهُمۡ ثَمٰنِیۡنَ جَلۡدَۃً وَّ لَا تَقۡبَلُوۡا لَهُمۡ شَهَادَۃً اَبَدًا ۚ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ অর্থ: আর যারা সচ্চরিত্রা নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে না আসে, তাদেরকে তোমরা ৮০টি বেত্রাঘাত করো এবং তোমরা কখনও তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না; এরাই তো ফাসেক।(সুরা নূর, আয়াত: ৪)

ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ দেয়ার শাস্তি কোরআনে তিনটি ধাপে নির্ধারিত হয়েছে:

৮০ বেত্রাঘাত

যে ব্যক্তি এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনে, তাকে ৮০ বেত্রাঘাতের শাস্তি দেয়া হবে। এটি ইসলামি শাস্ত্র অনুযায়ী একটি গুরুতর শাস্তি, যা ব্যক্তিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্টদায়ক করে তোলে এবং সমাজের জন্য সতর্কবার্তা দেয়।

সাক্ষ্যগ্রহণে অযোগ্যতা

মিথ্যা অপবাদদাতা ভবিষ্যতে কোনো মামলায় বা সামাজিক ক্ষেত্রে সাক্ষ্য দিতে পারবে না। তার সাক্ষ্য আর কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না, যা তার সমাজিক অবস্থানকে অনেক নিচে নামিয়ে দেয়।

পাপী হিসেবে বিবেচিত

মিথ্যা অপবাদ দেয়ার ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফাসিক বা পাপী হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যা তার ধর্মীয় ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে।

পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ যদি ব্যভিচারের অভিযোগ আনে, তবে তাকে চারজন নির্ভরযোগ্য সাক্ষী হাজির করতে হবে, যারা ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। যদি চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে গণ্য হবে এবং অভিযোগকারীকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
এ বিধান ইসলামের কঠোর বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ, যেখানে কারও মানসম্মান রক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। এর ফলে, সমাজে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কারো প্রতি হঠাৎ অপবাদ দিতে পারবে না এবং অপবাদের অপব্যবহার রোধ হবে।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতী-সাধ্বী নারীদের সম্মান রক্ষার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন এবং মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। 
একটি হাদিসে নবীজি বলেন,যে ব্যক্তি কারও প্রতি মিথ্যা অভিযোগ আনে, অথচ প্রমাণ করতে পারে না, মহান আল্লাহ তার জন্য দোজখের শাস্তি নির্ধারণ করেছেন। (মুসলিম)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, মিথ্যা অপবাদের শাস্তি শুধু দুনিয়াতেই নয়, আখিরাতেও কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। ইসলামি বিচারব্যবস্থায় এটি মানুষের মর্যাদা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

কিউটিভি/আয়শা/০১ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ৯:৫২

▎সর্বশেষ

ad