
ডেস্ক নিউজ : রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গেন্ডারিয়া-সূত্রাপুর থানা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে যাদের দলে গুণ্ডা আছে, বদমাশ আছে, ডাকাত আছে, দুর্নীতিবাজ আছে তাদেরকে বয়কট করতে হবে। তাদেরকে ভোট দেবেন না। ভোটারদের একজোট হয়ে চাঁদাবাজ, খুনি, সন্ত্রাস, ধর্ষক, টাকা পাচারকারীদের বয়কট করতে হবে। যে দলে এমন খুনি ও চাঁদাবাজ থাকবে তাদেরকে ভোট দিবেন না। ভোটাররা এক হলে আগামীতে কোন খুনি ও মাস্তান নির্বাচিত হতে পারবে না।
ফয়জুল করীম অনেক নেতাকর্মী দল ত্যাগ করেছে। জনগণ ট্যাক্স দেয়, ভ্যাট দেয় আর সরকার লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। সেই সুযোগ আর মানুষ কোনো সরকারকে দেবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন তার পিয়নও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টারে ঘুরতো ফিরতো। তাহলে বুঝুন তারা দুর্নীতির কোন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। তার এ কথায় প্রমাণ করে হাসিনার পরিবার কত হাজার কোটির টাকার মালিক।
ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ এ নেতা আরও বলেন,
আওয়ামী লীগ পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নাস্তিক বানাবার জন্য সিলেবাসে এমন সব সংযোজন করেছে যে, এই সিলেবাস দিয়ে ভবিষ্যতে কোন মুসলমান খুঁজে পাওয়া দায় হতো। বিবর্তনবাদের নামে এক পঁচা ও বিশ্ব প্রত্যাখ্যাত সিলেবাসের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে শেষ করার ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছিল তারা। রাষ্ট্রীয় আয়োজনে শিক্ষার্থীদেরকে অশ্লীলতা-প্রেম-ভালবাসার নামে অকামে জড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, শরীয়তের বিধান বোরকা নিয়ে শিল্পকলার নতুন ডিজির আপত্তিকর বক্তব্য আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে কটুক্তিকারী ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে অপসারণ করতে হবে।
ফয়জুল করীম শায়খে বলেন, চোর দিয়ে চুরি বন্ধ করা যায় না, ডাকাতদের মাধ্যমে ডাকাতি বন্ধ করা যায় না, আবার দুর্নীতিবাজদের দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। যারা আল্লাহকে ভয় করে, যারা আল্লাহর কাছে হিসাব দেয়ার ভয় করে-এমন খোদা ভীরু নেতৃত্ব না আসা পর্যন্ত; এদেশের মানুষ শান্তি পাবে না। মুক্তি পাবে না। এরজন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
কিউটিভি/আয়শা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:২১