ব্রেকিং নিউজ
আই হ্যাভ আ প্ল্যান : তারেক রহমান সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার : তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের খবর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে বিতর্কিতদের প্রশ্রয় : শংকিত জেলাবাসী গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল ঢাকায় এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে রৌমারীতে মশাল মিছিল আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামঃ অভিযোগের ঝড় খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি

বন্যার পানি দিয়ে অজু করা যাবে?

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪ - ০৭:৫৬:৪৬ পিএম

ডেস্ক নিউজ : মহান আল্লাহ মানুষের পূতপবিত্র জীবনযাপন পছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী পরিবার! আল্লাহ তো শুধু চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’ (সুরা আহজাব: ৩৩)।

প্রাকৃতিক বন্যা সাধারণত বৃষ্টি ও নদীর পানি থেকে হয়ে থাকে। এই দুই উৎসের পানি যেহেতু পবিত্র, তাই এ পানি থেকে নাপাকি দূরীকরণ ও পবিত্রতা অর্জন করা জায়েজ। (বাদায়েউস সানায়ে: ১/১৫)
 
স্রোতের পানিতে যদিও নাপাকির সংমিশ্রণ থাকে, কিন্তু পানির রং, ঘ্রাণ বা স্বাদে কোনো পরিবর্তন না আসলে তা দিয়ে পবিত্রতা হাসিল করা জায়েজ। কিন্তু যদি অতি পরিমাণ নাপাক বস্তু মিশ্রিত হয়ে পানির গুণ বা স্বাভাবিকতা নষ্ট করে দেয় তাহলে তা নাপাক হয়ে যাবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ১/১৬-১৭)
 
মাটি বা অন্যকোনো পবিত্র বস্তু মিশ্রিত হয়ে যদি পানিকে অতিরিক্ত ঘোলা করে দেয়, যার দরুন স্বাদ, রং, ঘ্রাণ– পানির এই তিনটি গুণের কোনো একটিতে পরিবর্তন আসে, অথবা পানির স্বাভাবিক তরলতা ও প্রবহমানতা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেই পানি খোদ পাক থাকবে বটে, কিন্তু তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা জায়েজ হবে না। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২১)
 
বন্যার পানি যখন পবিত্রতা অর্জনের অনুপযোগী হয়ে যাবে এবং পবিত্রতা অর্জনের জন্য পবিত্র পানির ব্যবস্থাও না হবে, তখন তায়াম্মুমের মাসয়ালা চলে আসবে। অর্থাৎ সে তখন মাটি, পাথর, চুনা বা দেয়াল ইত্যাদি থেকে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করে নিবে।
 
তবে যদি তায়াম্মুম করার মতোও কিছু না থাকে তাহলে সে পবিত্রতা অর্জন ছাড়াই নামাজি ব্যক্তির সাদৃশ্য গ্রহণ করে নামাজ আদায় করবে এবং পরবর্তীতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে সেই নামাজ কাজা আদায় করে নিবে।
 
বন্যার পানি যেহেতু বিভিন্ন রোগ-জীবাণু বহন করে থাকে, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর, তাই একেবারে নিরুপায় অবস্থা ছাড়া বন্যার পানি পান করা জায়েজ হবে না। কেননা শরিয়তে অন্যের ক্ষতি সাধন যেমন নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে, তেমনি ‘ইচ্ছাকৃত’ নিজের ক্ষতি করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে ঠেলে দিয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৫ অগাস্ট ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৫২

▎সর্বশেষ

ad