ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

দান-সদকায় কৃপণতা ধ্বংসের কারণ

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪ - ০৪:৩১:৩১ পিএম

ডেস্ক নিউজ : ধন-সম্পদ মহান আল্লাহর নিয়ামত। মানুষের উচিত সেই নিয়ামতের শোকর করা এবং তা মহান আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতিতে পরিচালনা করা। আল্লাহর ঠিক করা নিয়মের বাইরে গিয়ে ধন-সম্পদ থেকে উপকৃত হওয়া যায় না। যেমন অনেকেই আছে ধন-সম্পদ ধরে রাখার জন্য কৃপণতা করে।

পবিত্র কোরআনে কৃপণতা ও কৃপণতায় উৎসাহ দেওয়াকে মুনাফিকের কাজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীরা একে অপরের অংশ, তারা মন্দ কাজের আদেশ দেয়, আর ভালো কাজ থেকে নিষেধ করে, তারা নিজেদের হাতগুলো সংকুচিত করে রাখে। তারা আল্লাহকে ভুলে গেছে, ফলে তিনিও তাদের ছেড়ে দিয়েছেন, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা হচ্ছে ফাসিক।

’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৬৭)কৃপণতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ফলে তারা নিজেদের অজান্তে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। কৃপণতা পূর্ববর্তী অনেক জাতির ধ্বংসের কারণ হয়েছে। তাই রাসুল (সা.) স্বীয় উম্মতদের এই অভ্যাস ত্যাগ করার তাগিদ দিয়েছেন।

শুধু ইহকালীন শাস্তিই নয়, কৃপণতার পরকালীন শাস্তিও ভয়াবহ।

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তাদেরকে দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে, তারা যেন মনে না করে যে তা তাদের জন্য কল্যাণকর, বরং তা তাদের জন্য (খুবই) অকল্যাণকর, তারা যাতে কৃপণতা করেছে, সত্বর কিয়ামতের দিন তারই বেড়ি তাদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে। আসমান ও জমিনের স্বত্বাধিকার কেবল আল্লাহরই। তোমরা যা কিছুই করছ আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮০)

আবু হুরায়রা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু সে এর জাকাত আদায় করেনি, কিয়ামতের দিন তার সম্পদকে টেকো (বিষের তীব্রতার কারণে) মাথাবিশিষ্ট বিষধর সাপের আকৃতি দান করে তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার মুখের দুই পার্শ্ব কামড়ে ধরে বলবে, ‘আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার জমাকৃত অর্থ।’ অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) সুরা আলে ইমরানের ১৮০ নম্বর আয়াতটি তিলাওয়াত করেন। (বুখারি, হাদিস : ১৪০৩)

তাই আমাদের উচিত খরচে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। এত কম খরচ না করা যে তা কৃপণতার পর্যায়ে চলে যায়, আবার এত বেশি খরচ না করা যে তা অপব্যয়ের পর্যায়ে চলে যায়। এটাই মহান আল্লাহর আদেশ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আর তুমি তোমার হাত তোমার ঘাড়ে আবদ্ধ রেখো না এবং তা পুরোপুরি প্রসারিত কোরো না, তাহলে তুমি নিন্দিত ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়বে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৯)

মহান আল্লাহ সবাইকে কোরআনের নির্দেশনাগুলো অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৩ অগাস্ট ২০২৪,/বিকাল ৪:২৫

▎সর্বশেষ

ad