ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

মুসলিম সভ্যতায় দরবেশ শব্দের ব্যবহার

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪ - ০৮:১১:০২ পিএম

ডেস্ক নিউজ : ইসলামের আরেকটি দিক হলো আধ্যাত্মিকতা। যাকে কোরআনের ভাষায় তাযকিয়া বলা হয়। মুসলমানদের মূল স্পন্দন এখানেই। যে ব্যক্তি যত বেশি আধ্যাত্মিকতা চর্চা করবে সে তত বেশি ভালো মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে এবং দুনিয়ার লোভ-লালসামুক্ত হতে পারবে।

দরবেশ শব্দটি ফারসি (درویش) শব্দ থেকে আগত। যার শাব্দিক অর্থ হলো, অভাবী, নিঃস্ব, ভিক্ষুক, ফকির। পারিভাষিক অর্থে দরবেশ বলা হয়, সমাজে যারা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য পেতে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ত্যাগ করে এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় অধিক সময় দেয়।
 
দরবেশ শব্দের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ছিল তুরস্কে। উসমানি খেলাফত চলাকালে দরবেশদের প্রভাব বড় বড় শাসকদের ওপরও পড়তো। ভারতীয় উপমহাদেশও এর প্রভাব ছিল অনেক। এর মধ্যে ফকির আন্দোলন অন্যতম।
 
হিন্দু বা সনাতন ধর্মে দরবেশ অনেকটা সন্ন্যাসীর মতো। যারা দুনিয়া বিমুখতা বেছে নেয়। তবে ইসলামি সুফি বা দরবেশরা তাদের থেকে অনেক দিক থেকে ভিন্ন।
 
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়া বিমুখতা ও আধ্যাত্মিকতা শিক্ষা দিয়েছেন। তার এই গুণ বর্ণনা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই। তিনি বলেন,
 
‘আমি তোমাদের মধ্যে একজন রসুল প্রেরণ করেছি তোমাদের মধ্য থেকে, যে তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। আর তোমাদেরকে শিক্ষা দেয় এমন কিছু যা তোমরা জানতে না। (সুরা বাকারা ১৫১)
 
যারা দরবেশ হিসেবে নিজের জীবন ধারণ করতে চান তাদেরকে চারটি বিষয় নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়। সেগুলো হলো, এক. অদৃষ্ট বস্তুতে বিশ্বাস বা ঈমান। দুই. অদৃষ্ট বস্তুর অনুসন্ধান বা তলব। তিন. অদৃষ্ট বস্তু সম্পর্কে জ্ঞানলাভ বা ইরফান। চার. অদৃষ্ট বস্তুতে বিলীন বা ফানা ফিললাহ। (বঙ্গে স্বূফী-প্রভাব, ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক, ২৪)
 
ভারতীয় উপমহাদেশে সুফি বা দরবেশগণ যা করেন তা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। আলেমগণ একে অতিরঞ্জন বলেছেন। যেমন প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও বিয়ে না করা, দিনের পর দিন না খেয়ে থাকা, সামাজিক জীবন ছেড়ে ভবঘুরে হয়ে বেড়ানো ইত্যাদি।
 
তবে যারা কোরআন ও হাদিস অনুসারে চলেন, বিভিন্ন তরিকা অনুসরণ করে আল্লাহ তাআলার জিকির করেন এবং আকিদা ও বিশ্বাসে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসরণ করেন তারা বরাবরই প্রশংসিত হয়ে আসছেন।
 
অনেকে দরবেশ শব্দকে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করেন। যেমন কেউ দেখতে দরবেশের মতো হলেও কাজে-কর্মে শয়তানের অনুসারী তাকে অনেকে বিদ্রুপ করার জন্য দরবেশ বলে থাকেন। সমাজে ইতিবাচক অর্থে দরবেশ শব্দের ব্যবহার কমে যাওয়ায় মানুষ এভাবে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করছেন।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৪ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ৮:০৫

▎সর্বশেষ

ad