
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় অব্যাহত আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশ মিশরের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে মিশর।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিশরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, রাফাহ এলাকায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিশর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরায়েল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।
শনিবার মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ এর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিশর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না। একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরায়েলকেই দায়ী করে মিশর।
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিশরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিশরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।
তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিশর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিশর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এ কর্মকর্তা।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফাহ ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিশর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।
রাফাহ ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফাহর মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় ইসরায়েল।
কিউটিভি/আয়শা/১৪ মে ২০২৪,/রাত ৯:৫৪