
ডেস্ক নিউজ : ছোটবেলা থেকেই সন্তানের লালন-পালনে যত্নবান হওয়া উচিত। কোরআন হাদিস থেকে প্যারেন্টিং শেখা উচিত। সন্তানের বিছানা আলাদা কখন করবেন, এ বিষয়ে বাবা-মা চিন্তিত থাকেন।
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সন্তানের বয়স দশবছর হলে তাকে পৃথক বিছানায় বা আলাদা করে শোয়ানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। এ বয়সের পর একসাথে থাকা যাবে না কোনোভাবেই। যখনই সাত বছর হয়ে যাবে, তখন থেকেই থাকে আলাদা থাকার বিষয়ে তাগিদ ও ব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্রথমে বাবা-মায়ের রুমে ছোট একটি খাটের মাধ্যমে তাদের শোয়ার ব্যবস্থা করবে। পরে আস্তে আস্তে আলাদা রুমে শিফট করবে। এভাবে আলাদা বিছানায় রাখবে।
দশ বছর বয়সের পর যদিও বাবার সাথে ছেলের ও মায়ের সাথে মেয়ের শোয়ার অবকাশ আছে। তবে এক্ষেত্রেও আলাদা থাকার সুযোগ থাকলে একসাথে থাকা উচিত নয়। কিছু বর্ণনায় সাত বছরের কথাও এসেছে। সেই হিসেবে সাত বছর বয়স হলেই বিছানা পৃথক করা সতর্কতা। তবে সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত অবকাশ আছে। দশ বছর হয়ে গেলে বিছানা পৃথক করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরেও তা না করলে গুনাহ হবে। আমাদের সমাজের অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না যা সরাসরি সুন্নাহ পরিপন্থি।
হযরত আব্দুর রহমান বিন আবি সাঈদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক পুরুষ অন্য পুরুষের সতরের দিকে দৃষ্টি দিবে না, এক নারী অন্য নারীর সতর দেখবে না। এক পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে একই চাদরের নিচে শোবে না। এক নারী অন্য নারীর সাথে একই কাপড়ের নিচে শোবে না। (মুসনাদে আহমাদ ১১৬০১)
হযরত আব্দুল মালিক বিন রাবি বিন সাবরাহ পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন সন্তানের বয়স সাত বছর হয়, তখন তার বিছানা আলাদা করে দাও। (সুনানে দারা কুতনি ৮৮৬, মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন ৭২১)
কিউটিভি/আয়শা/০৯ জানুয়ারী ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:২১






