বিনোদন ডেস্ক : এ সময় নিজের গায়ের রং নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমার চামড়ার রং নিয়ে আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। গায়ের রং বদলাতে আমি অনেক ফেয়ারনেসক্রিম ব্যবহার করেছি, কিন্তু কিছুই বদলায়নি। পরে আমি বুঝতে পারি আসলে এগুলি কী!’

নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ বুঝিয়েছিলেন তিনি দেখতে সুন্দর নন, আর তিনিও তাই বিশ্বাস করেছিলেন। মানুষের কথায় নিজের রূপ নিয়ে মন্দ ধারণা ছিল এই তারকার। তবে এক সময় তিনি নিজেই উপলব্ধি করলেন, তিনি ঠিক আছেন।
নওয়াজউদ্দিন ভাষ্য, ‘আমি দীর্ঘ দিন বিশ্বাস করেছি, আমি দেখতে সুন্দর না। কিন্তু যখন আমি এই পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসি এবং উপলব্ধি করি আমি ঠিক আছি, আমার মুখ দেখতে সুন্দর।’
সব কটূকথা ছাপিয়ে নওয়াজ বলেন, ‘আপনার চেহারা নিয়ে আপনার আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা জরুরি। কিছু সময় আপনি মানুষের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। অনেকেতো আমাকে আমার নাক, ঠোঁট ঠিক করারও পরামর্শ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন,আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী না হন, তা হলে কোনো কিছুই সুন্দর না। আপনি যদি আপনার চেহারা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, তবে তা ভুল হবে।নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী উত্তর প্রদেশের ছোট গ্রাম বুধানায় একটি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সিদ্দিকী ৯ ভাইবোনের মধ্যে বেড়ে ওঠেন; এদের মধ্যে থেকে সাত ভাই এবং দুই বোন রয়েছে। অভিনেতা ভারতের মুম্বাইয়ের আন্ধেরির যারি রোডে তার ছোট ভাই সামাশ নবাব সিদ্দীকির সাথে বসবাস করেন। সামাস বর্তমানে পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর স্ত্রী অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে, তাদের ঘরে আছে এক মেয়ে শোরা সিদ্দিকী ও এক ছেলে ইয়ানি সিদ্দিকী।

এ অভিনেতা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি দুটি এমি পুরস্কার মনোনীত ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। তন্মধ্যে একটি হলো নেটফ্লিক্সের মৌলিক ধারাবাহিক ‘স্যাক্রেড গেমস’ এবং জেমস ওয়াটকিন পরিচালিত ‘ম্যাকমাফিয়া’।
বলিউডের দাপুটে অভিনেতা ওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী নিজের অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে: ব্ল্যাক ফ্রাইডে (২০০৪), নিউ ইয়র্ক (২০০৯), পিপলি লাইভ (২০১০), কাহানি (২০১২), গ্যাংস অব ওয়াসিপুর (২০১২), গ্যাংস অব ওয়াসিপুর – ২য় পর্ব (২০১২), মানঝি (২০১৩), তালাশ (২০১২), বদলাপুর (২০১৫) এবং বজরঙ্গি ভাইজান (২০১৫)।
কিউটিভি/আয়শা/০৯ নভেম্বর ২০২৩,/দুপুর ২:৪৮