মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমরা দুঃসময় পার করছি: বাণিজ্যমন্ত্রী

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ - ০১:৪১:৪৩ পিএম

ডেস্ক নিউজ : বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে পিডব্লিউডি স্টাফ কোয়ার্টার অডিটোরিয়ামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে দেশে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। এ মাসে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরমাসে যেটি ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর গত বছরের এই সময়ে যা ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ হয়েছে, সেপ্টেম্বরে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে আলু ও ডিম আমদানির প্রভাব নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সীমিত আমদানিতেই বাজারে আলুর দাম কমেছে। ডিমের বাজারেও একই অবস্থা। বিগত দেড় মাসের চেষ্টায় আমরা দেশের বাজারে ডিম আনতে পেরেছি। উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তা সামাল দিতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। পরে ৩০ অক্টোবর বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এদিকে অশুভ রাজনীতির কবল থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে রাজাকার-আল বদরের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, যেভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারকে ধ্বংস করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সিন্ডিকেটকে মাথায় বাড়ি দিয়ে ভেঙে দিতে হবে।
তাপস বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যারা বাজারকে ধ্বংস করছে তারা একটাই কুচক্রীমহল। তারা কোনো সময়ে চাল, কোনো সময় ডিম, কোনো সময় আলুর বাজারে সিন্ডিকেট করছে। স্মার্ট বাংলাদেশে সিন্ডিকেটের স্মার্টনেসকে বরদাশত করা হবে না।তিনি আরও বলেন, বিএনপির শাসনামল ২০০১-২০০৫ পর্যন্ত বিভীষিকাময় সময় পার করতে হয়েছে। সেখান থেকে মুক্তির জন্য সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। সারাদেশে এক কোটি পরিবার কার্ডধারী নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের মাঝে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) থেকে ভর্তুকি মূল্যে নভেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৬০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল ও ১০০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ১ কেজি চিনি কিনতে পারবেন।
তবে চিনি সব পয়েন্টে পাওয়া যাবে না। প্রাপ্যতাসাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি করা হবে। তবে কোন কোন এলাকায় চিনি বিক্রি হবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এবার পেঁয়াজ বিক্রি করছে না টিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে হবে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৯ নভেম্বর ২০২৩,/দুপুর ১:৩৫

▎সর্বশেষ

ad