
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খবরে বলা হয়, দেশের সব সরকারি কাজে হিজরি সনের পরিবর্তে গ্রেগরিয়ান (ইংরেজি) ক্যালেন্ডার ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সৌদি সরকার। চলতি সপ্তাহে (৩১ অক্টোবর) ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সভাপতিত্বে সৌদি মন্ত্রিসভা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ইংরেজি সনের সম্পর্ক সূর্যের সঙ্গে আর হিজরি সনের সম্পর্ক চাঁদের সঙ্গে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে হিজরি সনের প্রবর্তন হয়। ইসলামের অনেক ইবাদত হিজরি সন অনুযায়ী পালন করতে হয়। যেমন– হজের মৌসুম, রোজা ও দুই ঈদের তারিখ নির্ধারণ ও জাকাতের বছর গণনা ইত্যাদি। ঐতিহ্যগতভাবে এতদিন হিজরি সনের পাশাপাশি দ্বিতীয় বর্ষপঞ্জি হিসেবে গ্রেগরিয়ান বা ইংরেজি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে আসছিল সৌদি আরব।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ ও পর্যটক টানতে দেশের অনেক নিয়মনীতির সংস্কার করছে রাজতান্ত্রিক দেশটি। তারই অংশ হিসেবে এবার সরকারি কাজে হিজরি সন বাদ দিয়ে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল দেশটির সরকার।
সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এটাকে স্বাগত জানিয়েছে। রিয়াদের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আইনের অধ্যাপক ড. ওসামা ঘানেম আল-ওবাইদি বলেছেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সরকারের এই পদক্ষেপ বেশ ইতিবাচক।
তিনি আরব নিউজকে বলেন, সব ধরনের সরকারি কাজকর্মে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি বেশ ভালো একটি পদক্ষেপ। কারণ হলো বিশ্বের সব দেশই তাদের সব আইনকানুন, লেনদেন ও অন্যান্য কাজে এই ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে।
ব্যাংকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক তালাত জাকি হাফিজ সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তটিকে খুবই বুদ্ধিদীপ্ত বলে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে চলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ত্বরান্বিত করবে।
কিউটিভি/আয়শা/০৪ নভেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:২৪