
ডেস্কনিউজঃ বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মাতব্বরি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো ধরনের চাপে নেই। আমরা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। কেউ মাতব্বরের ভূমিকা নিয়ে আসলে সহ্য করা হবে না।
শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না জানিয়ে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা কোনো কারচুপি চাই না। স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন চাই।সেখানে কেউ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে স্বাগত জানাই।
এ সময় শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরকালে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এসব সমঝোতা স্মারকগুলো হলো কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দু’দেশের সাধারণ নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পর্যায়ে সুগভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিভিন্ন সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমমনা অবস্থান দুই দেশের সম্পর্ককে গভীরতর করেছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক অভাবনীয় গতি লাভ করেছে, যা ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, বাংলাদেশকে অন্যতম বন্ধুপ্রতীম এবং সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে, যা জি-২০-তে বাংলাদেশের ‘অতিথি রাষ্ট্র’ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে সরকারের অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতি। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্যসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দুপুরে ঢাকা ছাড়বেন। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে অতিথি রাষ্ট্র বাংলাদেশ দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।
নাহিদা। ০৭.০৯.২০২৩/রাত ৯.৩১