ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

চট্টগ্রামে বন্যার পানি কমছে, পানিবাহিত রোগ নিয়ে শঙ্কা

Ayesha Siddika | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৩ - ০৭:২২:৫৯ পিএম

ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলার প্লাবিত এলাকা এখন অনেকটা শঙ্কা মুক্ত। তবে বাড়ি ঘরে পানি নামলেও এখনো বন্যার ভয়ঙ্কর স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে প্লাবিত এলাকার লোকজন। তবে বাড়ি ঘরে পানি না থাকলেও খাল বিলে পানি এখনো রয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রায় সব উপজেলায় এখন পানি নামতে শুরু করেছে। তবে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার প্লাবিত ঘরবাড়িতে এখন পানি নেই। খাল বিল নালায় পানি আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও বেশ ক’দিন লাগবে।

এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া বৃদ্ধ ও শিশুসহ এ পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাতকানিয়া উপজেলায় ১০ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া লোহাগাড়া উপজেলায় চারজন, চন্দনাইশ উপজেলায় দুজন এবং আনোয়ারা, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলায় একজন করে মোট তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে প্লাবিত এলাকার বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশসহ নালা নর্দমার পানি মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ময়লা আবর্জনার কারণে দূষিত এসব পানিতে রোগ-বালাই বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয়, দূষিত পানির কারণে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড রোগীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি চর্মরোগসহ পানিবাহী রোগী বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রাহকদের সতর্ক করে গণমাধ্যমে গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

এমন পরিস্থিতিতে পানি পানে সর্বোচ্চ সতর্কতার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। এ বিষয় মাথায় নিয়েই ইতোমধ্যে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। যার জন্য স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদের পাশাপাশি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে এসব রোগ-বালাই থেকে নিরাপদে থাকতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, অনেকেই পানি বিশুদ্ধ করে পান করেন না। যার কারণে তাদের পানিবাহিত অসুখ হয়ে থাকে। যেহেতু অতিবৃষ্টির কারণে বাসা বাড়িতে দূষিত পানি প্রবেশ করেছে, ময়লা পানি একাকার। তাই বরাবরই আশঙ্কা থাকে-পানিবাহিত রোগ বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের অতিবাহিত করা হয়েছে। মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত স্যালাইনসহ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও রয়েছে। তবে সবকিছুর পরও সকলকে সচেতন থাকা জরুরি।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১২ অগাস্ট ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:১৮

▎সর্বশেষ

ad