ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধি, আশপাশ এলাকায় নেতাকর্মীরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায়

হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ছেড়ে সংলাপে বসার পরামর্শ দিয়েছি: পোপ লিও

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৬:০০:২৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের সফরের শেষ দিন গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্কাই নিউজ আরাবিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পোপ বলেন, ভ্যাটিকান ‘সকল পক্ষকে সহিংসতা ত্যাগ করে সংলাপের টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, চার্চ ‘হিজবুল্লাহকে অস্ত্র রেখে সংলাপে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছে।’

পোপ বলেন, বৈরুতে তার রাজনৈতিক সভাগুলো মিডিয়া থেকে দূরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বিরোধগুলো হ্রাস করার ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল। তার লেবানন সফর শুরুর আগে হিজবুল্লাহর পাঠানো এক চিঠি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পোপ জবাবে বলেন: ‘আমি হিজবুল্লাহর চিঠি পর্যালোচনা করেছি এবং এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাইছি না।’
 
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) পোপ লিওকে একটি চিঠি পাঠায় হিজবুল্লাহ। তাতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননে অব্যাহত ইসরাইলি হামলার প্রকাশ্যে নিন্দার আহ্বান জানায় গোষ্ঠীটি। চিঠিতে তারা বলেন, ‘পোপের এ শুভ সফরকে সামনে রেখে আমরা আবারও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করছি যে, লেবাননের বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আমাদের মূলনীতি। দেশের সেনাবাহিনী ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে যেকোনো আগ্রাসন ও দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের অঙ্গীকার।’

হিজবুল্লাহ বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ইসরাইল যে আচরণ করছে তা অগ্রহণযোগ্য। তারা আশা প্রকাশ করে যে, পোপ লিও লেবাননের জনগণের ওপর অবিচার ও হামলার বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত কথা বলবেন। এর আগে এক বক্তব্যে হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম পোপের সফরকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পোপের কাছে হস্তান্তরের জন্য সদস্যদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং তা প্রকাশেও কোনো গোপনীয়তা থাকবে না।
 

তিনি আরও জানান, তাদের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি মেনে চলা হয়েছে, কিন্তু ইসরাইল ধারাবাহিকভাবে লেবাননের ভেতরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ কাসেম আশা প্রকাশ করেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পোপের উপস্থিতি লেবাননে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ় আশা করি, তিনি লেবাননকে আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে এবং শান্তি স্থাপনে সহায়তা করবেন।

২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরাইলকে লেবাননের সব এলাকা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। কিন্তু এখনো পাঁচটি স্থানে তাদের সেনা অবস্থান করছে, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এরপর থেকে ইসরাইল বারবার লেবাননের ভেতরে হামলা চালাচ্ছে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে সতর্ক করেছে লেবানন সরকার।

 

 

আয়শা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৫:৫৭

▎সর্বশেষ

ad