
ডেস্কনিউজঃ টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, রামু ও সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানিবিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাতামুহুরী নদীতে ঢলের পানির সাথে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নদীর লক্ষ্যারচর পয়েন্টে স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হয়েছে এক যুবক।
রোববার (৬ আগস্ট) রাত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী, চকরিয়া পৌরসভার বিএমচর, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন, রামু উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ার, রাজারকুল ইউনিয়নে বেশির ভাগ গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। এসব গ্রামের সড়কগুলোও তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলা কর্মকর্তা জামাল মোর্শেদ জানান, মাতামুহুরী নদীর ঢলের পানির তোড়ে পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আরো একাধিক এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জে পি দেওয়ান জানান, পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা লোকজনকে সমতলের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা জানান, পাহাড়ি ঢলে এই উপজেলার রাজাখালী, উজানটিয়া মগনামা, টৈটং, বারবাকিয়া, শিলখালীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
নাহিদা /০৭.০৮.২০২৩/ সন্ধ্যা ৭.০৪