যেসব কারণে রোজা ভাঙার অবকাশ রয়েছে

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ - ১০:৫৪:৩৪ পিএম

ডেস্ক নিউজ : রোজা মানুষকে সংযমের শিক্ষা দেয়। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর পবিত্র রমজান মাসের রোজা ফরজ করেছেন, যাতে করে তারা এর মাধ্যমে তাকওয়া অবলম্বন করতে পারে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। বিনা ওজরে রোজা ভাঙার শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাফেজ জাহবি (রহ.) তাঁর ‘কাবায়ের’ নামক গ্রন্থে বলেন, ষষ্ঠতম কবিরা গুনাহ হলো বিনা ওজরে রোজা ভাঙা। অন্যত্র তিনি বলেন, এ কথা মুমিনদের কাছে স্বতঃসিদ্ধ, যে ব্যক্তি বিনা ওজরে কোনো অসুস্থতা কিংবা যৌক্তিক কারণ ছাড়া রোজা ভঙ্গ করে, সে ব্যভিচারী, প্রতারক ও মদ্যপ ব্যক্তির চেয়েও নিকৃষ্ট। মুমিনরা তার মুসলমান হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে। তারা ধারণা করে যে লোকটি হয়তো জিন্দিক হয়ে গেছে।

এর দ্বারা বোঝা যায়, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য রোজা ভাঙার অবকাশ রয়েছে। যদি কেউ ইসলাম সমর্থিত যৌক্তিক কারণে রোজা ভাঙতে বাধ্য হয়, তবে তাকে তিরস্কার করার সুযোগ নেই। নবীজি (সা.)-এর যুগেও তাঁর সাহাবিরা বিশেষ কারণে রোজা ভেঙেছেন। তাঁদের রোজাদার সাহাবিরা কখনো তিরস্কার করেননি।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু সাঈদ (রা.) বলেন, রমজান মাসে আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতাম। এ সময় আমাদের কেউ সাওম পালন করেছেন, আবার কেউ সাওম ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু সাওম পালনকারী সাওম ভঙ্গকারীকে খারাপ মনে করতেন না এবং সাওম ভঙ্গকারীও সাওম পালনকারীকে খারাপ মনে করতেন না। তারা মনে করতেন যার সামর্থ্য আছে সে-ই সাওম পালন করছে, এটা তার জন্য উত্তম। আর যে দুর্বল সে সাওম ছেড়ে দিয়েছে, এটা তার জন্য উত্তম। (মুসলিম, হাদিস : ২৫০৮)

 

কিউটিভি/আয়শা/০৪ এপ্রিল ২০২৩,/রাত ১০:৫৩

▎সর্বশেষ

ad