আরেক প্রশ্নের জবাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটকে ২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছিল। গণমাধ্যমে তার সংবাদও প্রচারিত হয়েছিল। এ ছাড়া তাদের বিভিন্ন সময়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের আটজন আহত হয়েছেন, যারা ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।

ডেস্ক নিউজ : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের ওপর জনতার আক্রমণ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ‘আমাদের কর্মীরা তো নিজের জীবন দিয়ে আপনাদের রক্ষা করেন, তাদেরই কেন আঘাত করা হলো? কারা আঘাত করল?’ হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডিজি বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি গাড়ি এবং অধিদপ্তরের ভেতরে প্রবেশ করে ইআরসিসি ভবন ও রিসিপশন ভবন ভাঙচুর করে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মারধর করে। বাইরে থেকেও লোকজন অধিদপ্তরের ভেতরে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অগ্নিনির্বাপণের সময়ও আমাদের অনেক কর্মী মারধরের শিকার হন। পরে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি তদন্ত কমিটি নিরূপণ করবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই কাজ করেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
কিউটিভি/আয়শা/০৪ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৫:৫৫