শাবিপ্রবিতে ভ্রাতৃত্বের ইফতার

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ - ০৪:৪৩:১৪ পিএম

ডেস্ক নিউজ : পরিবার থেকে দূরে থাকা এসব শিক্ষার্থীরা চাইলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সেহরি কিংবা ইফতারের সুযোগ পান না। এ শূন্যতা অনেকটাই দূর করেছে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের কোনো না কোনো ইফতার আয়োজন। 

রমজান মাস শুরু হলে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের অনেককেই একসঙ্গে নিজেদের হলের রুমমেট, ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায়, ভার্সিটি গেটের ছোটো ছোটো টং দোকানগুলোতে ইফতারিতে অংশগ্রহণ দেখা যায়। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ, বিভাগের অ্যালামনাই, আঞ্চলিক সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও তৎপর থাকে ইফতার মাহফিল আয়োজনে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রমজান শুরুর প্রথম দিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়াম, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবনগুলোতে থাকা বড় ক্লাসরুম-গ্যালারিগুলোতে কোনো না কোনো বিভাগ, অ্যালামনাই, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ইফতার আয়োজন লেগেই ছিল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাস জীবনে একসঙ্গে ইফতার তাদের উৎফুল্ল করে তোলে। এতে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। ইফতারের সামগ্রীতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই রাখেন-ছোলা, মুড়ি, আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু, পাকোড়া, খেজুর, জিলাপি, শরবত ও ফল ইত্যাদি। এ ছাড়াও সিলেটি লোকাল আখনি ও খিচুড়িও ইফতারে খাওয়া হয়।

অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস জামান জানান, এই রমজান মাসে নিজের পরিবার-পরিজন ছেড়ে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে এই শাবিপ্রবির ৩২০ একরের মাঝে থেকে আমরা যারা রোজা করছি, তাদের জন্য আসলেই এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে গেলে সেই প্রথম রোজা থেকে মনে হয় না কখনো একা ইফতার করেছি। সিনিয়র-জুনিয়র, ব্যাচমেট এমনকি টিচার-স্টাফ সবাই আমরা প্রতিদিন মিলিত হই এই ইফতারকে উপলক্ষ করে।


পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার তালুকদার সাইমুন জানান, দেখতে দেখতে ক্যাম্পাস জীবনের প্রায় দুই বছর শেষের প্রান্তে। পরিবার ছেড়ে ৩২০ একরের প্রাণের ক্যাম্পাসে, চেনা পরিবেশ চেনা-অচেনা অনেক মানুষ। পরিচয় একটাই, কেউ ডিপার্টমেন্টের, ক্লাব বা অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাচমেট, সিনিয়র অথবা নবাগত সাস্টিয়ান। পবিত্র রমজানে প্রতিদিন ডিপার্টমেন্ট, ক্লাব বা অ্যাসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিলের আয়োজন হচ্ছে। এতে সাস্টিয়ানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় এবং সম্পর্ক আরও গভীর ও মজবুত হচ্ছে। ঈদের ছুটি, তাই বাড়ি চলে যাবো। পরিবার ছেড়ে সবার সঙ্গে ইফতারের সময়টা আসলেই মিস করব।

লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আল-জান্নাতুল দীপ্তি বলেন, রমজান মাসে পরিবার থেকে দূরে থাকাটা সবার জন্যই বেশ আক্ষেপের। এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র-জুনিয়র, বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে ইফতার করতে পারাটা আনন্দের। ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠনের ইফতার মাহফিল এমনকি ক্যাম্পাসের মুক্ত মঞ্চে, ক্যাফেটেরিয়ায় বন্ধুরা পেপার বিছিয়ে বসে একসঙ্গে ইফতার ভাতৃত্ব বন্ধন সুদৃঢ় করছে। 

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৪ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৪:২২

▎সর্বশেষ

ad