
স্পোর্টস ডেস্ক : যে কোনো বড় টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উত্তাপ ছড়ায়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর শুরুর আগেও উত্তাপ ছড়িয়েছিল। তবে সেটা শুধুই সাকিব আল হাসানের সোজাসাপটা কথার মাধ্যমেই। সাংবাদিকদের যিনি বিপিএল নিয়ে বলেছিলেন ‘যা-তা অবস্থা’। বিপিএল মাঠে গড়ানোর পর সাকিবের সেই কথারই প্রমাণ মিলছে প্রায় প্রতিদিনই। সাকিব নিজেও সেখানে বিতর্কে জড়াচ্ছেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করছেন। মাঠে ঢুকে পড়ে খেলা বন্ধ রাখছেন।
সেই থেকে এবারের আগ পর্যন্ত ৮টি মৌসুম দেখেছে বিপিএল। তবে এই ৮ মৌসুমে ম্যাচ গড়াপেটা, পারিশ্রমিক বকেয়াসহ উঠেছে নানান বিতর্ক। আসরে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা, ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্ব সবকিছুই বদলেছে বছরে বছরে। তাই পরিকল্পনা গ্রহণের এক যুগ পরেও বিপিএল পড়ে আছে সেই তিমিরেই। একটা সময় বিপিএলে ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলের মতো খেলোয়াড়রা নিয়মিত ছিলেন। খেলে গেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথরাও।
তবে এখন বিভিন্ন দেশে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সংখ্যা বেড়েছে। বিপিএলের সময়েই হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ ২০। দুদিন পরই দুবাইয়ে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি–টোয়েন্টি (আইএল টি–টোয়েন্টি)। বড় ক্রিকেটাররা বিপিএলের চেয়ে সেখানে খেলাকেই বেছে নিচ্ছেন। তাই বিপিএলে এবার সেই অর্থে খুব বড় তারকাও নেই। পল ভ্যান মিকারেন, কলিন অ্যাকারম্যান, কার্টিস ক্যাম্ফার, ম্যাক্স ও’দাউদদের মতো আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর খেলোয়াড়দের নিয়েই বিপিএলে টানাটানি অবস্থা।
বিসিবির রাজস্ব আয়েও এখন পর্যন্ত বড় ভূমিকা রাখতে পারেনি বিপিএল। বরং অনেক সময় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিজেরাই দিয়েছে। মাশুল গুনেছে দুর্বল আর ভেজালে ভরা ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার। বিসিবি পরে বাধ্য হয়েছে বিপিএলের আর্থিক কাঠামো সংকুচিত করতে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি। এবারের আসরে তো ডিআরএসের ব্যবস্থাও করতে পারেনি বিসিবি। সাকিব আল হাসান তাই যথার্থই বলেছিলেন, ‘বিপিএলের চেয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগই ভালো’।
কিউটিভি/আয়শা/১১ জানুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:০০