
বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচ জনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মনোনয়ন বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন মন্তু, শাহ মফিজ, মোহন মিয়া ও আব্দুর রহিম। হলফনামায় সাক্ষর, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর, ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট দাখিল না করাসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হওয়া আট প্রার্থী হলেন, পদত্যাগ-পরবর্তী দল থেকে বহিস্কৃত বিএনপি’র সাবেক সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল। মনোনয়ন বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন মন্তু, শাহ মফিজ, মোহন মিয়া ও আব্দুর রহিম। হলফনামায় সাক্ষর, এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর, ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট দাখিল না করাসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা (জিয়াউল হক মৃধার জামাতা) মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। এছাড়া বাংলাদেশ আইন পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জমান আনসারি, ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দেননি। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার মো. জিল্লুর রহমান জানান, যাচাই-বাছাইয়ে পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নে ত্রুটি পাওয়া যায়। যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া মোহন মিয়া মারা গেলেও এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়েনি। কেননা, নিয়ম অনুসারে বৈধ প্রার্থী না হওয়া পর্যন্ত কেউ মারা গেলে এক্ষেত্রে ভোটের তারিখে কোনো পরিবর্তন হবে না।
সর্বশেষ জাতীয় সংসদ থেকে গত ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন বিএনপি সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া। ফলে এই আসনটি শুন্য ঘোষণা করলে আগামী ১ ফেব্রয়ারী উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই আসনে কোন মনোনীত কোন প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে জাতীয় পার্টি থেকে আব্দুল হামিদ ভাসানীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
কিউটিভি/আয়শা/০৮ জানুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:১৮