
বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক উন্নয়নের জন্য বিনা অনুমতিতে সড়কের পাশের অন্তত ৫০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যার যার বাড়ির সামনের গাছ তারা নিজে উদ্যোগী হয়ে কেটে নিয়ে যান। এর আগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য গাছ কেটে নিতে এলাকায় মাইকিং করেন। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে গাছ না কাটলে পরিষদের পক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।নির্দেশনা পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন। এতে গাছ কাটার জন্য চেয়ারম্যানের মাইকিংকে দায়ী করা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শাতে বলা হবে বলে জানা গেছে।
তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ অবশ্য জানিয়েছেন, সড়ক উন্নয়নের স্বার্থে তিনি গাছের ডালপালা কাটার জন্য এলাকায় মাইকিং করিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সড়কের পাশের বেশ কিছু গাছ কেটে নেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসের শেষ দিকে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর এলাকার সড়কের উন্নয়ন হবে উল্লেখ করে যার যার বাড়ির সামনে থাকা সড়কের দুই পাশের গাছ কাটার জন্য এলাকায় মাইকিং করান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ।চেয়ারম্যানের মাইকিং শুনে এলাকার লোকজন গাছ কাটতে শুরু করেন।
একে একে অন্তত ৪০-৪৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। ইউএনও ও অ্যাসিল্যান্ড সরজমিনে ঘুরে ঘটনার সত্যতা পান। ৩১ অক্টোবর প্রশাসনের নির্দেশে গাছ কাটা বন্ধ হয়। এরপর অনেকে গাছের কিছু অংশ উপজেলা প্রশাসনের নিকট নিয়ে দিয়ে আসেন। ৪ ডিসেম্বর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফ উল আরেফীন এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ বলেন,‘ঝড়ে সড়কের পাশে কিছু গাছের ডালপালা পড়েছিল। এলাকাবাসীর বিষয়টি জানানোর পর পড়ে থাকা গাছের ডালপালা সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়।’ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, সড়কের পাশ থেকে গাছ কেটে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
কিউটিভি/অনিমা/২২ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১০:১৮