
বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বেঙ্গাউতা গ্রামে মামা ও ভাগ্নের মধে নির্বাচনী তিক্ততার জের ধরে শুক্রবার সকালে হওয়া দু’পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়। পূর্ব বিরোধ নিষ্পতির জন্য ডাকা সালিস সভার আগে ওই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৪০ জনের বেশি নাসিরনগর ও মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় বেঙ্গাউতা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই নাসিরনগর থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে গ্রামের এখনো বিষয়টি নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাপড়তলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন জাহের মোল্লা ও তার আপন ভাগনে মো. মুক্তার মিয়ার। ওই নির্বাচনে ভাগনে মুক্তার মিয়া পরাজিত হয়। এর পর থেকে মামা-ভাগনের সম্পর্ক তিক্ততায় রুপ নেয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তার মিয়ার পক্ষের জমুজ মিয়া নামে একজন কৃষককে মারধর করে ইউপি সদস্য জাহের মিয়ার পক্ষের লোকজন। এর পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আবারো দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, মামা-ভাগনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দ্ব›দ্ব। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা করলে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠায়। শুক্রবার এ নিয়ে সালিস সভার হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
কিউটিভি/অনিমা/২৫ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৯:০৮