ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধি, আশপাশ এলাকায় নেতাকর্মীরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায়

নোয়াখালীতে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রকে নির্যাতন-নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগ

Anima Rakhi | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ - ০১:৪৪:৪০ পিএম
নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মাকসুদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হাসিনা আক্তারের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে তার কাছে প্রাইভেট না পড়ায় নিয়মিত ক্লাসে শারীরিক ও মানসিক টর্চার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত কিছু দিন যাবত মাকসুদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জাজিউল হককে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। ওই শিক্ষার্থী তার কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ক্লাসে শারীরিক ও মানসিক টর্চার করে এবং পরীক্ষার খাতায় সে সম্পূর্ণ প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান করলেও তাকে যথাযথ নম্বর প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।   

অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষিকা হাসিনা আক্তারের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে কল দিয়ে হাসিনা আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন আমি ব্যাংকে আছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, এটি তদন্তাধীন বিষয়। এ বিষয়ে কোন কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নুরুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগ থাকায় ওই স্কুলের অন্য শিক্ষক দিয়ে খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয়। যিনি অভিযুক্ত শিক্ষক তিনি নম্বর দিয়েছেন ১০ পরে  শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন নামে আরেক শিক্ষক কে দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করলে দেখা যায় সে পেয়েছে ১১। নম্বরের তেমন পার্থক্য নেই। যেহেতু লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তাই ছাত্রকে তার কাছে প্রাইভেট না পড়ায় নিয়মিত ক্লাসে শারীরিক ও মানসিক টর্চারের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।           

কিউটিভি/অনিমা/১৯ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:৪৪

▎সর্বশেষ

ad