ডেস্কনিউজঃ আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জোট ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) প্রকাশ করা প্যান্ডোরা পেপারসের চূড়ান্ত ব্যাচ বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে আরো তিন বাংলাদেশির নাম রয়েছে। তারা সম্পত্তি কেনা-বেচা ও সম্পদ লুকানো, কর এবং বিচারিক কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দেওয়াসহ নানা অনিয়মের জন্য আর্থিক গোপনীয়তার আশ্রয়স্থল ব্যবহারে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
দুইজন এস হেদায়েত উল্লাহ এবং এস রুমি সাইফুল্লাহ হংকংয়ের ট্রান্সগ্লোবাল কনসাল্টিংয়ে বিনিয়োগ করেছেন।
অন্যজন শাহেদা বেগম শান্তি জাস লিমিটেড নামে একটি অফ-শোর কম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন।
আইসিআইজে জানায়, এস হেদায়েত উল্লাহ ও এস রুমি সাইফুল্লাহ বারিধারা ডিওএইচএসের নর্দান রোডের একটি বাড়ির বাসিন্দা এবং শাহেদা বেগম শান্তি সিলেটের শাহজালাল এলাকায় থাকেন।
প্যান্ডোরা পেপারসের প্রথম পর্ব গত বছরের ৩ অক্টোবর এবং দ্বিতীয় পর্ব ৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। দুই ব্যাচে মোট আট বাংলাদেশির নাম ছিল। নতুন ব্যাচে ৯ হাজারের বেশি অফশোর কম্পানি, ট্রাস্ট এবং ফাউন্ডেশনের ফাঁস হওয়া নথি রয়েছে।
তবে নথি ফাঁসকারী সাংবাদিকরা বলেছেন, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না যে প্যান্ডোরা পেপারসে নাম থাকলেই কেউ কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তালিকায় আগে যে আট বাংলাদেশির নাম ছিল তারা হলেন মোহাম্মদ ভাই, সাকিনা মিরালী, নিহাদ কবির, অনিতা রানী ভৌমিক, ইসলাম মঞ্জুরুল, ওয়াল্টার পোলাক, ড্যানিয়েল আর্নেস্টো ইউবাত্তি এবং সায়েদুল হুদা চৌধুরী।
আইসিআইজে বলছে, তারা জনস্বার্থে এই তথ্য প্রকাশ করছে। তারা মনে করে, সবাইকে বিনা মূল্যে এই ডাটা দেওয়া অফশোর অর্থনীতির কী পরিমাণ ক্ষতি করে তার ওপর আলোকপাত করতে সাহায্য করে।
কিউএনবি/বিপুল/বুধবার, ০৪ মে ২০২২খ্রিস্টাব্দ/ রাত ১১.৩৭