কম্পমান হৃৎপিণ্ড
————————-
কতদিন বিরতিতে তৃষ্ণার্ত ঠোঁট
কোন ঠোঁটে আঁকেনি গভীর চুম্বন,
আলিঙ্গনের উষ্ণতাও ভুলে গেছে
দ্বিধা, শংকা, আতঙ্কে স্থির এক বিন্দুতে।
মলিনতায় ম্লান মুখ
শূণ্যতায় দৃষ্টি দোদুল্যমান,
জানা-অজানায় থরথর কম্পমান হৃৎপিণ্ড।
ভালো লাগে না কারণ ভালো নেই কিছুই-
ভালো নেই যাপিত জীবন
ভালো নেই রাধার বৃন্দাবন
ভালো নেই মা সরস্বতী
ভালো নেই নদী বসুমতী।
ঠিক এক যুগ আগেই এখানে-
প্রফুল্ল মনে নির্মল খেলা করতো
সবাই ছিল প্রেমের আলিঙ্গনে
“সকালে উঠিয়া মনে মনে করতো পণ’
জোয়ার-ভাটায় হাল ধরতো মনেপ্রাণে।
এখনো এখানে গরু ঘাস খায়!
এখন এখানে কাঁদতে মানা
মন খারাপের কথা বলা যাবে না।
বলা যাবে না! বলতে মানা!
রক্তচক্ষু তাকিয়ে আছে,
প্রতিক্ষণ তর্জনী উঁচিয়ে বাড়ায় সংশয়।
শূন্য দৃষ্টিতে দেখে যায় চোখ
পুষ্পমঞ্জরিতে শিহরিত হলেও উচ্ছ্বাস নেই।
ডিজিটাল সময়, কিউট লাভার, মেঘ বালিকার এ তল্লাটে
তাকে কোথাও দেখি না আর।
শিমুল, কৃষ্ণচুড়া, রঙ্গন এবং সবুজ অঙ্গন
সবই ধূসর বিষন্ন, রক্তজবা দেখি না আর।
শুধু দেখি গরু ঘাস খায়, দুধেল গরু, সবুজ ঘাস।।
বিপুল/২১শে এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | দুপুর ১.৪০