
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞার আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের চীনে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে বলেও জানায় চীন। অপরদিকে, চীনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র।
চীনের তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান আন্ডুরিল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা এবং নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর নয়জন জ্যেষ্ঠ নির্বাহী। তাদের চীনে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নর্থরপ গ্রুম্যান সিস্টেমস করপোরেশন, এলথ্রি হ্যারিস মেরিটাইম সার্ভিসেস এবং বোয়িংয়ের সেন্ট লুইস শাখা, যা মূলত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই পদক্ষেপ মূলত প্রতীকী। কারণ চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোর লেনদেন খুবই সীমিত। তবে বেসামরিক উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে চীন বোয়িংয়ের বড় ক্রেতা।
গত সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এটিই এখনো পর্যন্ত দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় মার্কিন অস্ত্রের প্যাকেজ। এই ঘোষণার পরপরই চীনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যু চীনের মূল স্বার্থের কেন্দ্রবিন্দু এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এমন একটি লাল রেখা যা অতিক্রম করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাইওয়ান প্রশ্নে সীমা অতিক্রমকারী যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাবে চীন কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।’ এসময় তিনি তাইওয়ানকে অস্ত্র দেয়ার মতো ‘বিপজ্জনক’ প্রচেষ্টা বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘এই নীতি নয়টি ভিন্ন মার্কিন প্রশাসনের সময়কাল জুড়ে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাইওয়ানের আত্মরক্ষামূলক সক্ষমতা সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে চীনের নেয়া প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছি।’ একইসাথে তিনি চীনের প্রতি তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বন্ধ করে অর্থবহ সংলাপে বসার আহ্বান জানান।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বোয়িং চীনা বিমান সংস্থাগুলোর কাছে প্রায় ৫০০টি বেসামরিক বিমান বিক্রির বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে স্থবির হয়ে থাকা বিমানবাজারে বোয়িংয়ের জন্য হবে একটি বড় সাফল্য।
আয়শা/২৭ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:৩০






