
ডেস্ক নিউজ : বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ইস্যু করা এক জরুরি চিঠিতে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চিঠিতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, বিদ্যমান নীতিমালা এবং নতুন প্রণীত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ লঙ্ঘন করলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং সাইবার জগতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ কার্যকর রয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনো ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট, গুজব কিংবা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো তথ্য শেয়ার করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এসব নিয়ম অমান্য করা কেবল পেশাগত আচরণবিধি লঙ্ঘনই নয়, বরং প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নির্দেশনায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সাইবার সুরক্ষা আইন মেনে চলার জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাইবার স্পেসে অপরাধ শনাক্তকরণ ও দমনে সরকারের অনমনীয় অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিশেষ তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যেন সাইবার অপরাধ বা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো কাজে জড়িয়ে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। মাউশি জানিয়েছে, এখন থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফেসবুক কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মাউশি সূত্র জানিয়েছে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর অধীন ডিজিটাল অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো শিথিলতা দেখানো হবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আয়শা/২৫ ডিসেম্বর ২০২৫,/রাত ৮:৫৪






