নিউজ ডেক্স : অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে চরম ব্যর্থতার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। প্রথম টেস্ট দুই দিনে, দ্বিতীয় টেস্ট চার দিনে এবং তৃতীয় টেস্ট পাঁচ দিনের মধ্যেই হেরে ১১ দিনেই সিরিজ খুইয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ায় এটি তাদের যৌথভাবে দ্রুততম সিরিজ হার। অ্যাডিলেড ওভালে তৃতীয় টেস্টে পরাজয়ের পর ম্যাককালাম নিজেই স্বীকার করেছেন, সিরিজের জন্য তার প্রস্তুতি পরিকল্পনা সফল হয়নি।

এই ভরাডুবির পর ইংল্যান্ড ক্রিকেটে শুরু হয়েছে বড় বিতর্ক। অতীতের উদাহরণ টেনে অনেক বিশেষজ্ঞই কোচ পরিবর্তনের দাবি তুলছেন। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের পর অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং ২০২১-২২ মৌসুমে ৪-০ হারের পর ক্রিস সিলভারউডকে কোচের পদ ছাড়তে হয়েছিল।
দ্য টেলিগ্রাফ-এ লেখা কলামে সাবেক অধিনায়ক জিওফ্রে বয়কট বলেন, “ম্যাককালাম ও স্টোকস ইংল্যান্ড ক্রিকেটে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু ‘বাজবল’-এর মেয়াদ শেষ। যদি কোনো পরিকল্পনা কাজ না করে, তাহলে বদল আনতেই হবে। কোচ পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।
সবাই যে ম্যাককালামের বিপক্ষে, তা নয়। বিবিসি স্পোর্টে লেখা কলামে ধারাভাষ্যকার জনাথন অ্যাগনিউ মনে করেন, ভুলগুলো সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা গেলে ম্যাককালাম ও স্টোকসের জুটি সামনে এগিয়ে যেতে পারে। ইংল্যান্ডের সামনে এখন কয়েক দিনের বিরতি। এরপরই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিং ডে টেস্ট। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নকে নাও পেতে পারে। তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এই সিরিজ হার কি ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের সূচনা করবে, নাকি ম্যাককালাম-স্টোকস যুগ আরো একবার নতুন করে সুযোগ পাবে?
কুইক টিভি/ মহন / ২২ ডিসেম্বর ২০২৫,/ সকাল ১১:৪৬






