ব্রেকিং নিউজ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার

ফিলিস্তিনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে বেশিরভাগ আমেরিকান

Ayesha Siddika | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫ - ১০:৪৫:৪৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বেশিরভাগ আমেরিকান ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে উঠে এসেছে। জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করলেও দেশটিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে।

জরিপ বলছে, অধিকাংশ আমেরিকান; যাদের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের ৮০ শতাংশ এবং রিপাবলিকানদের ৪১ শতাংশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত বলে মতামত দিয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থানের সঙ্গে জনমতের সামঞ্জস্য নেই।

রয়টার্স-ইপসোসের এই ছয় দিনব্যাপী জরিপ শেষ হয়েছে সোমবার। বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা ফিলিস্তিনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে মার্কিন স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছেন ৩৩ শতাংশ এবং বাকিরা স্বীকৃতি দেওয়া উচিত কি না, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন কিংবা প্রশ্নের উত্তর দেননি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অর্থাৎ ৫৩ শতাংশ ফিলিস্তিনকে মার্কিন স্বীকৃতির বিরোধী আর ৪১ শতাংশ স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর অনেকেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। পশ্চিমা মার্কিন মিত্রদের এই স্বীকৃতির তীব্র সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলে আসা সংঘাতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এমনকি দশকের পর দশক ধরে চলা সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে। পরে সেদিনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েল অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আর ৩২ শতাংশ এর বিরোধিতা করেছেন। গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছেন। চলতি মাসে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছেন ট্রাম্প।

রয়টার্স-ইপসোস জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধের অবসান এবং যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা সফল হলে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে। ৫১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, যদি শান্তি প্রক্রিয়া সফল হয়, তাহলে ট্রাম্প ‌‌‘‘গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য’’ বলে মনে করেন তারা। আর মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন ৪২ শতাংশ। রয়টার্স-ইপসোসের ওই জরিপ অনলাইনে পরিচালনা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৪ হাজার ৩৮৫ জনের কাছ থেকে জরিপের প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করেছে রয়টার্স ও ইপসোস।

 

 

আয়শা/২২ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১০:৪৪

▎সর্বশেষ

ad