
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে নতুন বলরুম নির্মাণের সমালোচনাকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্মাণকাজের শব্দ আমার কানে সুরের মতো লাগে।’
এএফপি-র প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবারও ধ্বংসকাজ চলতে দেখা গেছে। এ সময় ডেমোক্র্যাটরা সমালোচনা করে বলেন, সরকার বন্ধের আশঙ্কা ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মধ্যেও ট্রাম্প ২৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছেন।
তবে ৭৯ বছর বয়সি এই ধনকুবের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, কাজটি ‘অত্যাবশ্যক’ এবং এতে করদাতাদের অর্থ ব্যয় হবে না। ট্রাম্প বলেন, তিনি আংশিকভাবে প্রকল্পের অর্থায়ন করছেন, বাকি অংশ দিচ্ছেন ব্যক্তিগত ও কর্পোরেট দাতারা।
গত সপ্তাহে তিনি হোয়াইট হাউসে দাতাদের জন্য এক জাঁকজমকপূর্ণ নৈশভোজ আয়োজন করেন, যেখানে শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা প্রকাশ করেনি হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউস সমালোচকদের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এটি বামপন্থি ও ভুয়া সংবাদমাধ্যমের তৈরি এক কৃত্রিম ক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূরদর্শী উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে এক মহৎ ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে তৈরি বলরুম।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি মার্কিন উৎকর্ষের প্রতীক হিসেবে প্রেসিডেন্টদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কার ও উন্নয়নের ধারাবাহিক অংশ।’ সেখানে আগের প্রেসিডেন্টদের সংস্কার কাজের উদাহরণও দেওয়া হয়—যেমন বারাক ওবামা টেনিস কোর্টকে বাস্কেটবল কোর্টে রূপান্তর করেছিলেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু করেছেন, যার মধ্যে রোজ গার্ডেন পাকা করাও অন্তর্ভুক্ত। ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ তুলেছেন, হোয়াইট হাউস ধ্বংসের এই কাজ ট্রাম্পের প্রশাসনিক কাঠামো ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ভাঙার প্রতীকী উদাহরণ।
হাওয়াইয়ের সিনেটর মাজি হিরোনো এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইস্ট উইং ভাঙা আসলে আমাদের গণতন্ত্রকে ট্রাম্প যেমনভাবে ধ্বংস করছেন তারই প্রতীক।’
সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, ‘যখন আমেরিকানরা চরম ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে লড়ছে, তখন ট্রাম্প শুনতে পাচ্ছেন শুধু বুলডোজারের শব্দ, যা হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে নতুন বিলাসবহুল বলরুম তৈরি করছে।’
আয়শা/২২ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:১২