
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আর পারমাণবিক হুমকির মধ্যেই নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার সিউলে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী-২০২৫। যেখানে প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ুং ঘোষণা দেন, দক্ষিণ কোরিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম প্রতিরক্ষা শক্তিধর দেশ হতে চায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট লি বলেন, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণায় ‘প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বাজেট’ বরাদ্দ দেবে তার সরকার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মনুষ্যবিহীন অস্ত্র উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে উৎসাহ দিতে সর্বোচ্চ সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট লি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে শীর্ষ চার শক্তির একটি হওয়া সম্ভব। বেসরকারি খাতের প্রযুক্তি এখন বৈশ্বিক মানে পৌঁছেছে, আর সরকার তাদের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।
এবারের প্রদর্শনীতে চালকবিহীন যুদ্ধযান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর অস্ত্র, হাউইটজার ও আত্মঘাতী ড্রোনসহ নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে দেশটির কোম্পানিগুলো।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের শীর্ষ ১০০ অস্ত্র কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের হিসেবে অস্ত্র বিক্রিতে দক্ষিণ কোরিয়া দশম স্থানে রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র রপ্তানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। হাউইটজার থেকে যুদ্ধজাহাজ-সব ক্ষেত্রেই বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে সিউল। প্রেসিডেন্ট লি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এখন শুধু অস্ত্র নয়, প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতাও ভাগাভাগি করে নিতে চায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে।
কিউএনবি/আয়শা/২১ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৮:০০