ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

কাতারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি চায় সৌদি আরব

Ayesha Siddika | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ - ০৫:৫০:৪৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ওয়াশিংটনে তিনি দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে—যার সঙ্গেই তিনি ২০১৮ সালের সফরে বৈঠক করেছিলেন।

সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমানঘাঁটি রয়েছে, যেগুলো মূলত লোহিত সাগরের পাশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। প্রতিবেদনটি বলছে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা আরও জোরদার করতে আগ্রহী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সৌদি আরব জানে যে তারা এখন এক অত্যন্ত সহায়ক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছে। ট্রাম্পের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরই ছিল সৌদি আরবে। তিনি সবসময় আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন—বিশেষ করে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন দেয়। মানবাধিকার ইস্যুতে সৌদি আরবের সমালোচনা করা থেকেও তিনি বিরত থেকেছেন।

ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার, যিনি এই মাসে গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা তৈরিতে যুক্ত ছিলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আর্থিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তার বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান অ্যাফিনিটি পার্টনার্স সম্প্রতি সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সঙ্গে মিলে গেমিং জায়ান্ট ইলেকট্রনিক আর্টস (ইএ) কিনে নিয়েছে। এই সম্পর্ক ট্রাম্প ও মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে এক নাটকীয় মোড় নির্দেশ করে—বিশেষত যখন বাইডেন প্রশাসনের সময় ক্রাউন প্রিন্সকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রায় ‘অবাঞ্ছিত’ হিসেবে দেখা হতো। তবে তখনও বাইডেন নিজে রিয়াদ সফর করেছিলেন বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোর অনুরোধ জানাতে।

কোভিড–১৯ মহামারি এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তখন যুক্তরাষ্ট্র কঠিন সময় পার করছিল। সে সময় থেকেই দুই দেশ সৌদি আরবকে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এ যুক্ত করার জন্য নেপথ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল, যদিও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে সেই আলোচনা থেমে যায়। বর্তমানে যুদ্ধবিরতি আংশিকভাবে কার্যকর থাকলেও ইসরাইলের গাজায় বর্বরতা এবং গত দুই বছরে সাতটি দেশে বিমান হামলার কারণে নভেম্বরের বৈঠকে ওই চুক্তি সম্প্রসারণের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০১৮ সালের সফরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল জাঁকজমকভাবে। তিনি রাজনীতি, প্রযুক্তি ও হলিউডের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। তখন তাঁকে সৌদি আরবের এক আধুনিক ও সংস্কারপন্থি নেতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তবে সেই ভাবমূর্তি ভেঙে পড়ে একই বছরের অক্টোবরে, যখন সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করা হয়—যা ক্রাউন প্রিন্সের নির্দেশেই ঘটেছে বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়।

 

 

আয়শা/২১ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৫:৩৩ 

▎সর্বশেষ

ad