ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

আগুনের ঝুঁকি কমাতে নবীজি (সা.)-এর ৩ নির্দেশনা

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ - ০৮:৫৮:৪৮ পিএম

ডেস্ক নিউজ : মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা যে আগুন প্রজ্বলিত করো তা লক্ষ্য করে দেখেছ কি? তোমরাই কি তার বৃক্ষ সৃষ্টি করো, না আমি সৃষ্টি করি? আমি একে করেছি নিদর্শন ও মরুচারীদের প্রয়োজনীয় বস্তু।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৭১-৭৩)

আগুন জ্বালিয়ে রেখে ঘুমানো নিষেধ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, রাতে আগুন জ্বালিয়ে রেখে তোমাদের ঘরে ঘুমিও না। (মুসলিম, হাদিস: ২০১৫)। এ হাদিসের মূল শিক্ষা হলো, আগুন জ্বালিয়ে রেখে ঘুমালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমান সময়ে গ্যাসের চুলা, বৈদ্যুতিক হিটার, বা অন্যান্য উত্তপ্ত যন্ত্র চালু রেখে ঘুমানোর বিষয়ে এটি কঠোর সতর্কতা।

প্রদীপ নিভিয়ে রাখা

রাতে ঘুমানোর আগে প্রদীপ নিভিয়ে ফেলো। (বুখারি, হাদিস: ৫৯১৮)। এ নির্দেশনাটি আধুনিক যুগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ঝুঁকি প্রতিরোধের শিক্ষাও দেয়। ঘরে বা অফিসে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ব্যবহারের পর প্লাগ খুলে রাখা এই নির্দেশনার আধুনিক প্রতিফলন।

আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার দোয়া করা

প্রতিটি বিপদ থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) আল্লাহর নিকট দোয়া করতেন এবং শিখিয়েছেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করো এবং আগুনের বিপদ থেকে নিরাপদ রাখো। এই দোয়া শুধু আধ্যাত্মিক সুরক্ষা নয়, বরং পার্থিব জীবনে অগ্নিকাণ্ড থেকে নিরাপদ থাকার জন্য এক আত্মিক আশ্রয়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন তোমরা তাকবির দাও। কারণ তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে।  (তাবরানি, হাদিস নং: ১/৩০৭)
তাকবির হলো-

اللَّهُ أَكْبَرُ (উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার।) অর্থ : আল্লাহ মহান।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আগুন যত প্রলয়ংকরী হোক; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে। (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা: ৫/১৮৮)

পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত রয়েছে, যেটি পড়লে আগুন নেভাতে প্রভাব পড়বে এবং আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ হয়ে যাবে। আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিমকে (আ.) আগুন যেন স্পর্শ না করে, সে নির্দেশ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন,

یٰنَارُ کُوۡنِیۡ بَرۡدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤی اِبۡرٰهِیۡمَ (উচ্চারণ : কুল ইয়া না-রুকু-নি বারদান ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।)

অর্থ : হে আগুন! তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৬৯) 

 

 

আয়শা/১৯ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৮:৪৫

▎সর্বশেষ

ad