
অনলাইন নিউজ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঢাকার আশুলিয়া থানার রাসেল গাজী হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আশুলিয়া থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগের আদালত এ আদেশ দেন। পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি এ তথ্য জানান। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করেন। এরপর হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়া এলাকায় রাসেল গাজী নামে এক ব্যক্তি গুলি করে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন তাদের নির্দেশেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। এতে নিহত হন রাসেল গাজী। অন্যদিকে আশুলিয়া থানায় মনিরুজ্জামান হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার দেখানো আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, আসামি মমতাজের হুকুমেই সেদিন মনিরুজ্জামানকে হত্যা করে ঘাতকেরা। এ ছাড়াও আশুলিয়া থানার অপর এক মামলায় শিল্পী মমতাজকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
মামলায় পলক ও ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত বছররে ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র জনতার উপর হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। গুলিবর্ষণ এর ফলে আশুলিয়া থানার গাজীরচট মধ্যপাড়া এলাকার রাসেল গাজীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ সময় আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা তাকে প্রথমে পল্লীবিদ্যুৎ হাবিব ক্লিনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল এবং আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে। নিহত রাসেল গাজী আশুলিয়ার বেলায়েত গাজী ও সেলিনা বেগম দম্পত্তির ছেলে। এ ঘটনা আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি জুনায়েদ আহমেদ পলক। গত বছরের ১৫ আগস্ট পলক ও ২৫ আগস্ট ইনুকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারে পর হত্যা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় তাদের একাধিক বার বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তারা সবাই কারাগারে আছেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
কিউটিভি/রাজ/২৪ জুলাই ২০২৫/ দুপুর :২.৩৩