ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন চিলমারীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ : অব্যহতি দুই বিক্ষোভকারীকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

কোহলির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কর্নাটক সরকারের

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫ - ০১:০৮:৩৮ পিএম

স্পোর্টস ডেস্ক : গত জুনে আইপিএলের শিরোপা জিতে আনন্দ উল্লাসে মাতে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে, এই আনন্দ আরসিবির ভক্ত সমর্থকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গিয়ে চরম বিপদ ঘটিয়ে বসে চ্যাম্পিয়ন দলটি। আনন্দ যাত্রা পরিণত হয় বিষাদে। আরসিবির ট্রফি প্যারেড পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে মারা যান ১১ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক। সেই ঘটনার জেরে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে দেশটিতে। এরপর গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। গ্রেফতার করা হয় ক্লাব কর্তাদেরও। শিরোপা উদযাপনে প্রাণহানির ঘটনায় চলা মামলায় কর্ণাটক সরকারের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন আদালত। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এবার অবাক করা এক তথ্য দিলো কর্নাটক সরকার।

হাইকোর্টে জমা দেয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অপেশাদারিত্ব। বেঙ্গালুরুর ট্রফি প্যারেডের অনুষ্ঠান কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া আয়োজনেরও দায় দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, আরসিবির অব্যবস্থাপনার কথাও তুলে ধরা হয় কর্নাটক সরকারের সেই রিপোর্টে। যেখানে বিরাট কোহলি দায়ী বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। শিরোপা জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরাটের একটি ভিডিওতে তিনি সমর্থকদের এই ট্রফি প্যারেডে অংশ নিতে আহ্বান জানান।

যা ভক্তদের সেখানে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। আরসিবি কর্তৃপক্ষ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কস ও কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট এ ধরনের জনসমাগমের জন্য যথেষ্ট পরিকল্পনার কথা ব্যাখ্যা করতে না পারলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দলটিকে শহর প্রদক্ষিণ ও স্টেডিয়ামে উদযাপনের অনুমতি না দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানায়। সে সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ট্রফি প্যারেড করে আরসিবি। আর সেখানেই সমর্থকের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে না পারায় লাঠি চার্জ করে পুলিশ।

কর্নাটক সরকার যুক্তি হিসেবে আরও উল্লেখ করে স্টেডিয়ামের গেট খোলা হয়েছিল দেরি করে। যে কারণে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। ওই ঘটনার পর আইপিএস বিকাশ কুমারকে বরখাস্ত করেছিল কর্নাটক সরকার। তা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরোধিতা করেছে কর্নাটক সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেল পিএস রাজাগোপালের যুক্তি, পুলিশ সেদিন আরসিবির ভৃত্যের মতো আচরণ করেছিল।

কে অনুমতি দিয়েছে তা না জেনেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা শুরু হয়েছিল। এই কাজে জড়িত ছিলেন কমিশনারও বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। রাজাগোপালের যুক্তি, সরকার যে অনুমতি তখনও দেয়নি, এটা ভুলেই গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশের গাফিলতির কথা তুলে ধরা হয়েছে সরকারের যুক্তিতে। এই মামলায় শুনানির সময় হাইকোর্ট সব পক্ষের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

 

 

আয়শা//১৮ জুলাই ২০২৫,/দুপুর ১:০০

▎সর্বশেষ

ad