ব্রেকিং নিউজ
চিলমারীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ : অব্যহতি দুই বিক্ষোভকারীকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু

অভিযানে গিয়ে টাকা আত্মসাত:অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত

Anima Rakhi | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫ - ১১:১৬:২৬ এএম

ডেস্ক নিউজ : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাহাদিপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—টাঙ্গাইল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম, উপপরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান।
এদের মধ্যে মো. জিয়াউর রহমান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুনের আপন ছোট ভাই।

এর আগে সোমবার রাতেই অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে সংযুক্ত করা হয়।

সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট মো. জিয়াউর রহমান সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে টাঙ্গাইলের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে যোগ দেন। অভিযানে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে শামীম আল আজাদ নামে আরও একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক রয়েছেন, যিনি আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় যোগ না দেওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন।

ভুক্তভোগী সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ (জিডি) করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুন সকালে অধিদপ্তরের লোকজন তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক না পেয়ে গাড়ির তেলের খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি প্রথমে ১০ হাজার টাকা দেন, পরে আরও ১০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণ পর তারা আবার তার ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করে এবং নাটকীয়ভাবে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযানের সময় কর্মকর্তারা ছালেহা বেগমের আলমারি থেকে নগদ ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং তার ছেলের ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে আরও ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়া ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে তাদের বক্তব্যও নেয়া হয়।

ছালেহা বেগম বলেন, শামীম আল আজাদ সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। হাত ধরে টানাহেঁচড়া, লাঠি দিয়ে ভয় দেখানো, লুকানো টাকা হাতিয়ে নেয় শামীম। তার কঠিন বিচার চাই। শুধু সাময়িক বহিষ্কারে আমি খুশি নই, লুট হওয়া টাকা ফেরতেরও দাবি জানাই।

এ বিষয়ে উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, অভিযানের নামে টাকা লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুনের অভিযানে ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কিউটিভি/অনিমা/০৯ জুলাই ২০২৫,/সকাল ১১:১৬

▎সর্বশেষ

ad