কোহলির ক্যারিয়ারই ‘শেষ’ করে দিতে বসেছিল সেই পাকিস্তান ম্যাচ

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৮ মে ২০২৫ - ১১:৩৭:৪৫ পিএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। তবে সে কিংবদন্তির ক্যারিয়ার কি-না অঙ্কুরেই শেষ হতে বসেছিল, অন্তত কোহলি নিজে তাই মনে করছিলেন! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনটাই বললেন তিনি। 

কোহলি সে সাক্ষাৎকারে ফিরে গেলেন তার ক্যারিয়ারের এক আবেগঘন অধ্যায়ে—২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেই ম্যাচে, যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে তিনি করেছিলেন মাত্র ১৬ রান। কিন্তু এই ছোট পারফরম্যান্সটাই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা, যা আজও তাকে গড়ে তুলেছে সংকটের মুখে আরও দৃঢ় এক ক্রিকেটার হিসেবে।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে কোহলি খোলামেলা ভাবে জানালেন, কীভাবে ওই ম্যাচে কেমন লাগছিল তার। তিনি বলেন, ‘ওটাই ছিল আমার প্রথম ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। আমি মাত্র ১৬ করেছিলাম। শাহিদ আফ্রিদিকে সোজা লং-অন দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়েছিলাম, কিন্তু ধরা পড়ে যাই। আমরা ম্যাচটা হেরে যাই। তখন আমি এতটাই নার্ভাস ছিলাম, পুরো ইনিংসেই আমার বুক ধড়ফড় করছিল।’ 

যুবরাজ সিংয়ের চোটের কারণে হঠাৎ করে দলে নেওয়া হয় কোহলিকে। সেই চাপ, নিজেকে প্রমাণ করার দায়—সব মিলিয়ে তরুণ কোহলির জন্য পরিস্থিতি ছিল একেবারে অভাবনীয়। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ শেষে আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। পাঁচটা পর্যন্ত ছাদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। মনে হচ্ছিল, এটাই শেষ। আমি এক বছর পর দলে ফিরেছি, কিন্তু পুরো সুযোগটাই নষ্ট করে ফেলেছি। জানি না এরপর কী হবে। তখন নিজেকে নিয়ে অনেক সন্দেহ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, হয়তো আর সুযোগ পাব না।’ 

কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হয় তার মানসিক ও কৌশলগতভাবে নিজেকে সামলে নেওয়ার প্রক্রিয়া। কোহলি জানালেন, সে ম্যাচটাই ছিল তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এমন সংকটের সময়ে কোহলির ক্রিকেট-জীবনে আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে এসেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন উইকেটকিপার মার্ক বাউচার। ২০০৮ সালে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলার সময় বাউচারের কাছ থেকে যা পেয়েছিলেন, তা আজও ভুলতে পারেননি কোহলি।

তার কথা, ‘শুরুতে যাদের সঙ্গে খেলেছিলাম, তাদের মধ্যে বাউচারই সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলেছিলেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন যিনি সত্যিই চেয়েছিলেন তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে।’ বাউচার কোহলিকে উপদেশ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেননি। বরং নিজে থেকেই লক্ষ্য করতেন তার খেলা, খুঁজে বের করতেন টেকনিক্যাল ঘাটতি, আর বলতেন, কী করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ‘তিনি আমার শর্ট বল খেলার দিকটি নিয়ে কাজ করতে চাইলেন। বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শর্ট বল না খেলতে পারলে কেউ তোমাকে সুযোগ দেবে না।’ তিনি আমাকে টেনিস বল দিয়ে নেট সেশনে অনুশীলন করিয়েছিলেন শর্ট বল মোকাবিলার জন্য।’

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৮ মে ২০২৫, /রাত ১১:৩৪

▎সর্বশেষ

ad