
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে ৪০ জন উইঘুরকে ফেরত পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড। চীনে ফেরত পাঠানোর ফলে তারা সম্ভাব্য নির্যাতন এবং এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখি হতে পারে বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও এ পদক্ষেপ নিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় থাইল্যান্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক এটিকে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে রুবিও বলেন, ‘এই আইনটি সবচেয়ে অরক্ষিতদের সুরক্ষা সংক্রান্ত থাই জনগণের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের পরিপন্থি এবং মানবাধিকার রক্ষায় থাইল্যান্ডের প্রতিশ্রুতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। উইঘুররা যেসব দেশে সুরক্ষা চায় সেসব দেশের সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন জাতিগত উইঘুরদের জোর করে চীনে ফেরত না পাঠায়। ’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে থাইল্যান্ডের পুলিশ প্রধান নিশ্চিত করেন, ৪০ জন উইঘুরকে একটি চার্টার্ড বিমানে করে চীনে পাঠানো হয়েছে। মূলত চীনের প্রত্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের তুর্কিভাষী মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুররা বেইজিংয়ের নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এটিকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। এমনকি জিনজিয়াংয়ে জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বেইজিংয়ের আচরণ ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলেও ২০২২ সালে জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।
কিউটিভি/আয়শা/২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ১:৪০