ফুটবলকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি মার্সেলো

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - ০৮:০৩:২৪ পিএম

স্পোর্টস ডেস্ক : রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জেতা খেলোয়াড়দের একজন মার্সেলো। তারই স্বদেশি রবার্তো কার্লোসের উত্তরসূরি হিসেবে রিয়ালের অফহোয়াইট জার্সি গায়ে চড়িয়েছিলেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে বাঁ প্রান্তে দারুণ জুটি গড়েছিলেন মার্সেলো। ক্লাবটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে।

রিয়ালে সাড়ে পনেরো বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ছয়টি লা লিগার শিরোপা জেতা মার্সেলো ইনস্টাগ্রামে তার ক্যারিয়ারের চুম্বক অংশগুলোর একটি ভিডিও পোস্ট করে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমার গল্পটা এখানেই শেষ কিন্তু ফুটবলকে আমার দেয়ার মতো অনেককিছু এখনও আছে।’

 

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব মার্সেলোর। ছবি: সংগৃহীত

স্বদেশের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সেও শিরোপাময় সময় কাটিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর স্পেন ছেড়ে কিছুদিন গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে খেলেন। এরপর স্বদেশে ফিরে যান তিনি। সেখানে ২০২৩ সালে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে জেতেন কোপা লিবের্তাদোরেসের শিরোপা।

২০২৪ সালের নভেম্বরে গ্রেমিওর বিপক্ষে ম্যাচের সময় ফ্লুমিনেন্সের কোচ মানো মেনেজেসের সঙ্গে তর্কের পর ক্লাব ছাড়েন তিনি। তারপর থেকেই ক্লাবহীন ছিলেন তিনি।

মার্সেলো ২০০৭ সালে ১৮ বছর বয়সে ফ্লুমিনেন্স থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন। মাদ্রিদের ক্লাবটিতে সাড়ে পনেরো বছর কাটিয়ে ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যু ছাড়েন। ২৫টি শিরোপা জেতা মার্সেলোকে অবশ্য পড়ে ছাড়িয়ে গেছেন নাচো, লুকা মদ্রিচ এবং দানি কার্ভাহাল।
 

ব্রাজিলের হয়ে শিরোপা জিততে পারেননি মার্সেলো। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের জার্সিতে ৫৮ ম্যাচ খেলে ৬ গোল করেছেন মার্সেলো। জাতীয় দলের হয়ে কখনো কোনো বড় শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি তিনি, যদিও ঘরের মাটিতে ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপজয়ী দলের অংশ ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১২ ও ২০০৮ এর অলিম্পিকে ব্রাজিলের হয়ে যথাক্রমে রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। 

 

 

কিউটিভি/আয়শা/৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/রাত ৮:০০

▎সর্বশেষ

ad