
স্পোর্টস ডেস্ক : রোনালদোর চেয়ে বয়সে ছোট ওয়েইন রুনি সেই কবে খেলা ছেড়ে কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। আর রোনালদোর চেয়ে দিন কয়েকের বড় এক সময়ের সতীর্থ রুবেন আমোরিম সামলাচ্ছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাগআউট। অথচ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখনও ফুটবল পায়ে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জকে ধাওয়া করে যাচ্ছেন। তবে জীবনঘড়ির নিয়ম মনে এক সময় তো থামতেই হয়। ৪০ বছর পূর্ণ করে ফেলা রোনালদোরও বুটজোড়া তুলে রাখার আর বেশিদিন বাকি নেই সেটা বুঝতে জ্যোতিষশাস্ত্রে জ্ঞান থাকা লাগে না।
কথা হচ্ছে, রোনালদো কোথায় থামতে চান? রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাসের মতো ক্লাব মাতানো ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার কি ক্যারিয়ারের একদম শেষ দিনগুলোয় ফিরতে চান শুরুর ঠিকানায়? স্পোর্তিং সিপি থেকে ২০০৩ সালে ১৯ বছর বয়সী রোনালদোকে দলে ভিড়িয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তখন থেকেই তো বিদেশ বিভূঁইয়ে কাটাচ্ছেন জীবন? যে ক্লাবের হয়ে বিশ্বজয়ের সূচনা রোনালদো কি সেখানেই শেষ করবেন? সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। অবসরের আগে আর স্পোর্তিংয়ে ফেরার ইচ্ছা নেই তার। কানাল-১১’কে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। রোনালদো বলেন, ‘আমি স্পোর্তিংয়ের খেলা দেখতে ভালোবাসি। এটা আমার ক্লাব! কিন্তু না, কিন্তু সেখানে ফেরার কথা ভাবছি না, এটা অনর্থক।’

‘আমি পর্তুগালে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম…এবং এটা এ কারণে নয় যে, আমি পর্তুগিজ লিগ অপছন্দ করি কিংবা এটা মানসম্মত নয়। মোটেও তা নয়।’ –রোনালদো যোগ করেন।
শৈশবের ক্লাবে ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন রোনালদো, ‘আমার মনে হয়, সবকিছুর একটা নির্ধারিত সময় এবং সীমারেখা আছে এবং সে কারণেই আমি স্পোর্তিংয়ে ফেরার কথা চিন্তা করি না।’
১৯৯৭ সালে স্পোর্তিংয়ের একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন রোনালদো। ২০০২ সালে ক্লাবটির বি দলে অচিষেক হয় তার। একই বছরে মূল দলেও জায়গা করে নেন। লিসবনের ক্লাবটির হয়ে মোট ৩১ ম্যাচ খেলে ৫ গোল এবং ৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
কিউটিভি/আয়শা/৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৪:০০