
স্পোর্টস ডেস্ক : এটা নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় ইনিংস পরাজয়। আগের ম্যাচটি ছিল ভারতের বিপক্ষে, ২০১৭ সালে নাগপুরে ইনিংস ও ২৩৯ রানে হেরেছিল তারা। আবার ইনিংস ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার এটা চতুর্থ সর্বোচ্চ বড় জয়। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ও ৩৬০ রানের হারানোর ম্যাচটি শীর্ষস্থান দখল করে আছে। পরের দুটি ম্যাচই পঞ্চাশের দশকে, ১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ও ৩৩২ রানে জেতার চার বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ও ২৫৯ রানের ব্যবধানে হারায় তারা।

৪৮৯ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়া শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ১১৪ রানে। এর ২টিই নেন নাথান লায়ন, উইকেটদুটি ৪১ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও ৩১ রান করা দিনেশ চান্দিমালের। এরপর ৬৫ রানের জুটি হয় কুশাল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার মধ্যে। সিলভাকে ম্যাথু কুনেম্যান ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন, তখন শ্রীলঙ্কার রান ১৭৯। কুশাল মেন্ডিস ফিরে যান স্কোর বোর্ডে আর ৮ রান যোগ হওয়ার পর।

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ২৩২ রান করা উসমান খাজা হন ম্যাচসেরা, এটা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। দীর্ঘদিন পর রানে ফিরতে পেরে খাজার নিদারুণ খুশিই হওয়ার কথা। স্মিথও কি কম খুশি? প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে টেস্টে প্রায় এক বছর পর নেতৃত্বভার কাঁধে নিয়ে নেমেছিলেন তিনি, গলের স্পিনবান্ধব উইকেটে জিতেছিলেন টসও। এই টেস্টে আবার তার সামনে ছিল ১০ হাজার রানের কিংবদন্তিদের তালিকায় ঢোকার মাইলফলক, অপেক্ষা ছিল মাত্র ১ রানের। বর্ডার গাভাস্কার সিরিজের শেষ ইনিংসে ৯৯৯৯ রানে আটকে যাওয়ার পর গলে প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়েই ১০ হাজারের কিংবদন্তিদের ক্লাবে ঢুকেন তিনি। এরপর উদ্যাপন করেন অনেকক্ষণ ধরে, সেঞ্চুরির পর যেমন করা হয়।
ট্রাভিস হেডের কথা তো বলাই হয়নি। ওপেন করতে নামলে সবাই একটু রয়েসয়ে খেলে থাকেন। কিন্তু ৫৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো ওপেন করতে নামা এ ক্রিকেটার টেস্ট ম্যাচটাকে টি-২০ বানিয়ে ফেলেছিলেন। মাত্র ৩৫ বলেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন, থামেন ৪০ বলে ৫৭ রান করে। লঙ্কানদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া ও ভেন্ডারসে।
কিউটিভি/আয়শা/০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/রাত ৯:২২