পশ্চিমা সহায়তা বন্ধ হলে দুই মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে: পুতিন

Anima Rakhi | আপডেট: ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ - ০৩:৩৬:৪৯ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মন্তব্য করেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে, তাহলে দুই মাসের মধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে। মঙ্গলবার রুশ সাংবাদিক পাভেল জারুবিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন এই মন্তব্য করেন।  

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ ছাড়া ইউক্রেন এক মাসও টিকতে পারবে না। তাদের অস্তিত্বই তখন ঝুঁকির মুখে পড়বে। সবকিছু আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যেই শেষ হতে পারে। বাস্তবতা হলো, বর্তমানে ইউক্রেনের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই। তারা পুরোপুরি পশ্চিমাদের ওপর নির্ভরশীল।  

পুতিন আরও বলেন, যদি পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা সত্যিই শান্তি চায়, তাহলে এটাই উপযুক্ত সময়। রাশিয়া এ ইস্যুতে তার অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে।  

২০১৫ সালের মিনস্ক চুক্তি লঙ্ঘন এবং ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দীর্ঘ এই যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া ইতোমধ্যে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসনসহ চারটি প্রদেশের দখল নিয়েছে।  

রাশিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী, ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়া ও এই চার প্রদেশকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে যুদ্ধ থামানো হবে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সরকার জানিয়েছে, রাশিয়া যদি দখলকৃত অঞ্চলগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই তারা শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হবে।  

যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রশাসন ইউক্রেনকে ধারাবাহিকভাবে অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়ে এলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পরপরই বৈশ্বিক অর্থ সহায়তা স্থগিত সংক্রান্ত একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে আগামী ৯০ দিন বিশ্বের সব দেশে মার্কিন সহায়তা বন্ধ থাকবে।  

ট্রাম্প নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানো তার অগ্রাধিকারের একটি বিষয়। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি যুদ্ধ দ্রুত বন্ধের ওপর জোর দিয়েছেন।  

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে অনড় অবস্থান, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের নীতি, এবং পশ্চিমা সহায়তা বন্ধের সম্ভাবনা মিলিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ একটি জটিল সন্ধিক্ষণে রয়েছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত যুদ্ধ থামানোর প্রচেষ্টায় নতুন সম্ভাবনার সূচনা করতে পারে, তবে দুই পক্ষের অবস্থান পরিবর্তন ছাড়া স্থায়ী সমাধানের আশা ক্ষীণ। 

কিউটিভি/অনিমা/২৯ জানুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৩:৩৬

▎সর্বশেষ

ad