ব্রেকিং নিউজ
চিলমারীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ : অব্যহতি দুই বিক্ষোভকারীকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু

বগুড়ায় প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ - ০৩:৪৯:৩২ পিএম

ডেস্ক নিউজ : বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পাইকারি বাজারে এক কেজি ফুলকপি মিলছে ২-৩ টাকায়। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি মূলা মিলছে ২-৩ টাকায়। আর বাঁধাকপি, শিম কিংবা শসার মতো সবজিগুলো মিলছে ১০-১৫ টাকা কেজিতে। সবধরণের সবজির দাম নিম্নমূখী হওয়ায় গ্রাহকের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও, কৃষকের চাষাবাদের খরচ তোলাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

উত্তর জনপদের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহাস্থানগড় হাট। ১০ দিন আগেও এই হাটে ফুলকপি বিক্রি হয়েছিল ১০-১৫ বা ২০ টাকা কেজিতে। অথচ সেই ফুলকপি নেমে এসেছে সর্বোচ্চ তিন টাকায়। মূলাও মিলছে একই দরে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ৮-১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে একটি বাঁধাকপি। শিমের দামও সর্বোচ্চ ২৫ টাকা, শশার কেজি ১৫ টাকা। শুধুমাত্র ৫০ এর ঘরে টমেটো আর আলু।

একজন কৃষক বলেন, বড় বাধাঁকপির দাম ১৮-২০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। ছোটগুলো ৮-১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্য আরেক কৃষক বলেন, বর্তমানে বাজারে সবজির যে যে দাম পাওয়া যাচ্ছে ,তা দিয়ে চলার মতো না। তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনে বেশ খুশি ভোক্তারা। তবে হতাশা বাড়ছে চাষীদের। তারা বলছেন, মাঠ থেকে হাটে সবজি নেয়ার ভ্যান ভাড়াই উঠছেনা; বীজ, সার, কীটনাশক আর আবাদের খরচ উঠবে কিভাবে? শারীরিক পরিশ্রমের মূল্য তো থাকছেই না হিসেবে।

বাজারে সবজির দাম কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে এক কৃষক বলেন, এখন ফুলকপি বিক্রি করছি ২-৩ টাকা কেজি। অথচ ফুলকপির চারা কিনছি এই দামে। আর মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। এত আমাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না।

এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন পাইকারি আর আড়তমালিকরাও। বাজারের একজন পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সবজির দাম কম হলেও শ্রমিকের খরচ তো কমেনি, যার কারণে আমরাও সবজি কম কিনছি, কারণ লাভ হচ্ছে না। কৃষক তো শেষ সেই সঙ্গে আমরাও কেনাকাটা সীমিত করে দিয়েছি। অন্যদিকে চাষীরা বলছেন, উৎপাদনের আধিক্য বিবেচনায় সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় সব মৌসুমেই বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য দাম থেকে।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৩ জানুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৩:৪৪

▎সর্বশেষ

ad