
স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৫ সালে স্পোর্টিং সিপি দিয়ে সিনিয়র ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করা ন্যানি থামলেন নিজ শহরের ক্লাব আমাদোরায়। শেষ ম্যাচটি তিনি খেলেছেন এই স্পোর্টিং সিপির বিপক্ষেই। গত ২ নভেম্বর ওই ম্যাচে ৩৮ মিনিট খেলে ন্যানি কোনো গোল অ্যাসিস্ট করতে পারেননি। মাঝে তিনি খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ফেনারবেচ, ভ্যালেন্সিয়া, ল্যাজিওর মতো দলগুলোর হয়ে। সব মিলিয়ে ৬১৬ ম্যাচে ১২৮ গোল ও ১৪৫ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২০০৮ সালের ফাইনালে চেলসিকে হারিয়ে সবশেষ যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগটি জিতে, ন্যানি ওই ফাইনালের সদস্য। ওয়েইন রুনির বদলি হিসেবে অতিরিক্ত সময়ে তাকে নামিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ আলেক্স ফার্গুসন। মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুটআউটে গুরুত্বপূর্ণ একটি গোল করেছিলেন তিনি। ১৮তম সদস্যের ঝরে (অবসর) যাওয়ারদের মধ্যে ন্যানি ১৭তম, বাকি রইলেন কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ থেকে ৩৯ বছর বয়সি আল নাসর তারকার মহাত্ব কিছুটা বুঝেই নেয়া যায়!অবসরে যাওয়া ১৬ জনের (ফন ডার সার, ওয়েস ব্রাউন, রিও ফার্দিনান্দ, নেমাঞ্জা ভিডিক, প্যাট্রিক ইভ্রা, ওয়েন হারগ্রেভস, পল স্কোলস, মাইকেল ক্যারিক, ওয়েইন রুনি, কার্লোজ তেভেজ, থমাস কুসজ্যাক, জন ও’শেয়া, মিকেল সিলভেস্ত্রে, অ্যান্ডারসন, রায়ান গিগস, ড্যারেন ফ্লেচার) মধ্যে রায়ান গিগস, রুনি, কার্লোজ তেভেজসহ বেশ কয়েকজন কোচিং সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত হয়েছেন, কেউ কাটাচ্ছেন অবসর সময়। ন্যানি বুটজোড়া তুলে রাখলেন ৩৮ বছর বয়সে। ওই ১৬ জনের অনেকের মতো তিনিও ফুটবলের সঙ্গেই থাকবেন। ন্যানি ফুটবল অ্যাকাডেমি নামে তার একটি অ্যাকাডেমি রয়েছে। তাছাড়া সিনত্রেনস এসএডি নামে একটি ক্লাবের আংশিক মালিকানাও আছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও ৪টি প্রিমিয়ার লিগ, ৪টি কমিউনিটি শিল্প, দুটি এফএ কাপ ও একটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ন্যানি, তখন ইউনাইটেডের স্বর্ণযুগ চলছিল বটে! পর্তুগালের হয়েও দারুণ সুখস্মৃতি আছে ন্যানির। ২০১৬ সালে ইউরোর সেমিফাইনালেসহ ৩টি গোল করেছিলেন তিনি। ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। যা তাদের প্রথম কোনো ট্রফি।
কিউটিভি/আয়শা/০৯ ডিসেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৩:১৪