
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : গত মাসে আইফোন ১৬ সিরিজের ফোনগুলো বাজারে এসেছে। বিশ্বের বহু দেশেই ফোনগুলো পাওয়া যাচ্ছে। তবে এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ফোনগুলোর বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন মতে, গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী কর্তাসাসমিতা বলেন, ‘যদি ইন্দোনেশিয়ায় কোনো আইফোন ১৬ ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা অবৈধ ব্যবহার হিসেবে গণ্য হবে। আইফোন ১৬-এর জন্য কোনো আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) সার্টিফিকেশন এখনও ইস্যু করা হয়নি।’
ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপলের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পূরণ না করাই এই নিষেধাজ্ঞার কারণ বলে খবরে বলা হয়েছে। দেশটিতে অ্যাপল কোম্পানির ১০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে শিল্পমন্ত্রী কর্তাসাসমিতা অ্যাপলের বিনিয়োগ ঘাটতির কথা উল্লেখ করে জানান, আইফোন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ হতে পারে। তিনি জানান, অ্যাপলের টিকেডিএন সার্টিফিকেশন এখনও সম্পন্ন হয়নি।
টিকেডিএন সার্টিফিকেশন বা ডোমেস্টিক কম্পোনেন্ট লেভেল সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়াতে অ্যাপলের পণ্য বিক্রি করতে হলে সেই প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম ৪০ শতাংশ স্থানীয় কনটেন্ট ভ্যালুর দরকার হয়। অর্থাৎ পণ্যের উপাদান, সেবা বা মান স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে হয়।
এ শর্ত পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠানকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনকেন্দ্র বা গবেষণাকেন্দ্রের মতো অবকাঠামো তৈরি করতে হয়। এই সার্টিফিকেশন অ্যাপলের ইন্দোনেশিয়ায় গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।
চলতি বছরের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়া সফর করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) টিম কুক। ওই সময় দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে দেখা করে দেশটিতে অ্যাপলের সম্ভাব্য উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এরপরই চলতি সপ্তাহে আইফোন ১৬ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা এল।
ইন্দোনেশিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেবরি হেন্দ্রি অ্যান্টনি আরিফ জানান, আইফোন ১৬-এর টিকেডিএন সার্টিফিকেশনের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে। তবে অ্যাপলের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আইফেন ১৬ বিক্রি বা ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন পাবে না।
কিউটিভি/আয়শা/২৬ অক্টোবর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:২৫